তোমরা যারা ঈমান এনেছো শোন….!

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৬ কুর’আনের এই সম্বোধনটা আমি ধার করছি এই ব্লগে যারা ঈমানের দাবী করেন – নিজেদের মুসলিম মনে করেন তাদের জন্য। যদিও আমি বুঝি যে, সামু ক্রমেই “মুক্তমনা” টাইপের ব্লগে পরিণত হচ্ছে। এখানে প্রায়ই দেখা যায় ইসলাম নিয়ে হাসি-ঠাট্টা, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করাটা নিজেকে পরিশীলিত বলে প্রমাণ করার একটা পন্থা মনে করেন অনেকেই। (তোমরা যারা ঈমান এনেছো, অর্থাৎ) আপনারা যারা নিজেদের মুসলিম মনে করেন, ভেবে দেখুন তো আজকের দিনে যা যা করলেন, বিচার দিবসে আল্লাহর কাছে, তাঁর সামনে তা justified করতে পারবেন তো? এই মুহূর্তে(রাত ৮:৩৫) সামুর প্রথম পাতায় ১৫টা পোস্ট…continue reading →

কারামাত সংক্রান্ত সঠিক ইসলামী বিশ্বাস

১০ ই জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৪ কারামাত (বা চালু বাংলায় কেরামত) নিয়ে চিন্তা-ভাবনা আমাদের, সাধারণ মুসলিমদের, মাঝে অনেক বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। "কোয়ান্টাম মেথড" নিয়ে এর আগের সিরিজ লেখাটায় পাঠকদের বিভিন্ন মন্তব্যে তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। আহলুস সুন্নাহ্ ওয়া আল জামা'আহ্ "কারামাতুল আউলিয়ায়" বিশ্বাস করে। কিন্তু যে কোন বিশ্বাসই সঠিক উৎস ও দলিল থেকে গ্রহণ করতে হবে। আমরা যেহেতু নিয়মতান্ত্রিকভাবে সঠিক পদ্ধতি মেনে পর্যায়ক্রমিক দ্বীন শিক্ষা করি না - সেহেতু মুসলিম জীবনের বিশ্বাসের সর্বপ্রথম ও সবচেয়ে জরুরী আল্লাহ্ সংক্রান্ত বিশ্বাসেই আমাদের ত্রুটি থেকে যায় - সেক্ষেত্রে "কারামাতুল আউলিয়ায়" বা আউলিয়াদের কারামাত সংক্রান্ত আক্বীদাহ্ বা…continue reading →

মুসলিম জীবনে রাসূলের(সা.) ভুমিকা কি বা কতটুকু?

অবিশ্বাসী বা বিধর্মীদের কথা বাদ দিয়ে - আমরা যদি শুধু মুসলিমদের কথাই ধরি, তবু দেখতে পাবো যে, মুসলিম জীবনে রাসূল (সা.)-এর ভূমিকা ঠিক কি বা কতটুকু - তা নিয়ে মুসলিম বলে পরিচিতদের মাঝেই wide range-এর মত পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যাবে। এর অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে সঠিক জ্ঞানের অভাব। ইসলামের সকল মৌলিক ধ্যান-ধারণার মতই, ইসলামের নবীর ভুমিকা কি - তাও আমাদের জানতে হবে কেবল মাত্র "নস্" বা text থেকে। তা না করে নিজস্ব অনুমান বা conjecture-এর বশবর্তী হয়ে কথা বলে আমরা এমন সব উদ্ভট গুণাগুণ নবী(সা.) প্রতি আরোপ করেছি, যার সাথে ইসলামের যেমন সম্পর্ক নেই, তেমনি সেগুলো বিভ্রান্তিকর এবং কোন কোন ক্ষেত্রে, এমন কি, ঈমানের জন্যও ক্ষতিকর। আমাদের average বাবা-মায়েরা যেমন আমাদের কখনো বলেন নি - তেমনি আমাদের average হুজুররাও কখনো আমাদের শেখান নি যে, রাসূল (সা.)-কে "role-model" মনে করাটা মুসলিমদের জন্য ঈমানের শর্ত [হতে পারে, হয়তো তারা জানতেনই না] যেমনটা আল্লাহ্ নিম্নলিখিত আয়াতে বলেছেন: لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِمَنْ كَانَ يَرْجُو اللَّهَ وَالْيَوْمَ الْآَخِرَ وَذَكَرَ اللَّهَ كَثِيرًا "অবশ্যই তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ তাদের জন্য যারা আল্লাহ ও পরকাল প্রত্যাশা করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে ৷" (সূরা আহযাব, ৩৩:২১) (more…)

রাসূলের (সা.) ভূমিকাসমূহ – শেষ পর্ব

[এই পোস্টটা, যারা seriously ইসলাম সম্বন্ধে জানতে চান, তাদের জন্য। আমরা যখন প্রায় "নাস্তিক" একটা মস্তিষ্ক নিয়ে বড় হচ্ছিলাম, তখন চাইলেও ইসলাম সম্বন্ধে জানার তেমন সুযোগ ছিল না - বলা যায়: আজকের মত সহজলভ্য source বা resource কোনটাই তখন ছিল না। আজ তাই যারা "searching souls" - তাদের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য পৌঁছে দিতে বড় ইচ্ছা করে।] (more…)

মুসলিম জীবনে রাসূলের(সা.) ভুমিকা কি বা কতটুকু?

অবিশ্বাসী বা বিধর্মীদের কথা বাদ দিয়ে - আমরা যদি শুধু মুসলিমদের কথাই ধরি, তবু দেখতে পাবো যে, মুসলিম জীবনে রাসূল (সা.)-এর ভূমিকা ঠিক কি বা কতটুকু - তা নিয়ে মুসলিম বলে পরিচিতদের মাঝেই wide range-এর মত পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যাবে। এর অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে সঠিক জ্ঞানের অভাব। ইসলামের সকল মৌলিক ধ্যান-ধারণার মতই, ইসলামের নবীর ভুমিকা কি - তাও আমাদের জানতে হবে কেবল মাত্র "নস্" বা text থেকে। তা না করে নিজস্ব অনুমান বা conjecture-এর বশবর্তী হয়ে কথা বলে আমরা এমন সব উদ্ভট গুণাগুণ নবী(সা.) প্রতি আরোপ করেছি, যার সাথে ইসলামের যেমন সম্পর্ক…continue reading →

রাসূলের (সা.) ভূমিকাসমূহ –৫

[এই পোস্টটা, যারা seriously ইসলাম সম্বন্ধে জানতে চান, তাদের জন্য। আমরা যখন প্রায় "নাস্তিক" একটা মস্তিষ্ক নিয়ে বড় হচ্ছিলাম, তখন চাইলেও ইসলাম সম্বন্ধে জানার তেমন সুযোগ ছিল না - বলা যায়: আজকের মত সহজলভ্য source বা resource কোনটাই তখন ছিল না। আজ তাই যারা "searching souls" - তাদের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য পৌঁছে দিতে বড় ইচ্ছা করে।] [এই সিরিজের এর আগের লেখাগুলো রয়েছে এখানে: (more…)

রাসূলের (সা.) ভূমিকাসমূহ – ৪

[এই পোস্টটা, যারা seriously ইসলাম সম্বন্ধে জানতে চান, তাদের জন্য। আমরা যখন প্রায় "নাস্তিক" একটা মস্তিষ্ক নিয়ে বড় হচ্ছিলাম, তখন চাইলেও ইসলাম সম্বন্ধে জানার তেমন সুযোগ ছিল না - বলা যায়: আজকের মত সহজলভ্য source বা resource কোনটাই তখন ছিল না। আজ তাই যারা "searching souls" - তাদের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য পৌঁছে দিতে বড় ইচ্ছা করে।] (more…)

আল্লাহ্ তা’আলা সম্পর্কে অজ্ঞতাবশত কথা বলা

মূল: জামাল আল দীন জারাবোজো [এই লেখাটি কেবলমাত্র বিশ্বাসী মুসলিমদের জন্য] মুসলিম স্পেনের বিখ্যাত স্কলার ও তফসীরকার আল কুরতুবী, তাঁর তাফসীরে, যেসব লোক কুরআন পড়তে গিয়ে বলে ‘আমার মনে হয়’, ‘আমার মন বলে’ অথবা ‘আমার মতে’ সে সব লোক সম্পর্কে বলেন যে, তারা আসলে আল্লাহ সম্পর্কে না জেনে কথা বলে এবং এটা একটা অন্যতম বড় অপরাধ। এবং এরা প্রকৃতপক্ষে যিনদিক এবং [তাদের অপরাধের গুরুত্ব বোঝাতে] তিনি বলেন যে, এদের মুরতাদ হিসেবে হত্যা করা উচিত। যখন কেউ কুরআনের আয়াত আবৃত্তি করে এবং যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ না করে এবং যথাযথ জ্ঞান ব্যতীত ঐ আয়াতের ব্যাখ্যা করে, সে হয়তো তার নিজের ‘হাওয়া’র অনুসরণ করে (হঠাৎ একটা কিছু মনে হল, ভাল মন্দ বিচার না করেই সেটার অনুসরণ করা), অথবা নিজের বাসনার বশবর্তী হয়, অথবা সে হয়তো শয়তানের দ্বারা পরিচালিত হয়, নয়তো সে নিজের অনুমানের উপর নির্ভর করে; যেটার (অনুমানের ভিত্তিতে কথা বলা) সম্পর্কে আল্লাহ তা’আলা কুরআনে বহুবার উল্লেখ করেছেন, অথবা তার মনে প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার পক্ষ থেকে ইলহাম হতে পারে, কিন্তু এই শেষোক্ত সম্ভাবনাটি অত্যন্ত ক্ষীণ। কেন? কেননা এক্ষেত্রে কুরআনের ব্যাখ্যা করার ক্ষেত্রে সঠিক পদ্ধতির অনুসরণ করা হয়নি, এবং যেহেতু সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিটি তাফসীরের যথার্থ পদ্ধতি অবলম্বন না করেই তাফসীর করেছে, অতএব সে ইতিমধ্যেই একটি অপরাধ করে ফেলেছে। যথার্থ জ্ঞান ব্যতীত কুরআন সম্পর্কে কথা বলে এবং সঠিক জ্ঞান, প্রশিক্ষণ এবং যোগ্যতা ছাড়াই এর ব্যাখ্যা দান করে, সে ইতিমধ্যেই একটি বড় অপরাধ করেছে, তাই এর সম্ভাবনা খুবই কম যে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা একটা ‘অপরাধের’ মধ্য দিয়ে তাকে অনুগ্রহ করবেন ও কুরআনের সঠিক ব্যাখ্যা তাকে শিক্ষাদান করবেন। যখন কেউ বলে যে, অমুক আয়াতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা এটা বোঝাতে চেয়েছেন কিংবা ওটা বলতে চেয়েছেন, তখন সে প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলার পক্ষে কথা বলছে এবং সে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা সম্পর্কে বলছে, আর তাই সেটা যদি সে প্রয়োজনীয় জ্ঞান ব্যতীত করে, তাহলে সে অত্যন্ত গর্হিত একটি কাজ করছে। (more…)

আল্লাহ্ কি সত্যিই আছেন! -১

আল্লাহ্ কি সত্যিই আছেন! -১ আস সালামু ‘আলাইকুম! যে কোন অনুশীলনরত মুসলিমের কাছে তো বটেই, এমন কি নামমাত্র মুসলিম বলে আখ্যায়িত করা যায় এমন কারো কাছেও “আল্লাহ্ কি সত্যিই আছেন?” এমন একটা প্রশ্ন, প্রাথমিক পর্যায়ে অবান্তর মনে হতে পারে। অনেকেই বলবেন যে, “মাদার ন্যাচার”, প্রকৃতি বা নিয়তি – এমন শব্দাবলীর আড়ালে বহু বস্তুবাদী বা মানবতাবাদীও আসলে আল্লাহর অস্তিত্বই স্বীকার করে থাকেন। তা সত্ত্বেও প্রশ্নটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং মুসলিম উম্মাহর জন্যই তা সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ। চলুন আমরা ভেবে দেখি কেন? (more…)

“এবং (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি) যে মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসূল।”

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম আস সালামু আলাইকুম! কিছুদিন আগে, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্” ঘোষণার শর্ত -এই শিরোনামে ৫ পর্বের একটা flop সিরিজ পোস্ট প্রকাশ করেছিলাম আমার ব্লগে। পোস্টগুলো কেন flop হলো - তা নিয়ে আমি অনেক ভেবেছি। শেষ পর্যন্ত নীচের একটি বা সব কয়টি কারণকেই সম্ভাব্য মনে হয়েছে: ক) আমার রস-কষবিহীন লেখা এবং অপাঠ্য ভাষা খ) ব্লগের বিশ্বাসী মুসলিম ভাই-বোনেরা এসব আগে থেকেই জানেন গ) এসব "কচকচানি" শোনার বা পড়ার সময় নেই তাদের জীবনে ঘ) জীবনের জন্য এর চেয়ে অনেক জরুরী জ্ঞাতব্য বিষয় পড়তে তারা ব্যস্ত (more…)

ইসলামের প্রথম স্তম্ভ: শাহাদা

ইসলামের প্রথম স্তম্ভ: শাহাদা السلام عليكم ورحمة الله و بركاته ইসলামের প্রথম স্তম্ভ হচ্ছে: “শাহাদা” [যার আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে ”সাক্ষ্য”] বা এই ঘোষণা দেয়া যে,আল্লাহ্ ছাড়া আর কোন ইলাহ্ (বা উপাস্য) নেই এবং মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসূল। আমরা এখানে প্রদত্ত ২টি সাক্ষ্যকে দুইভাগে আলাদা আলাদা আলোচনা করবো ইনশা’আল্লাহ্। শাহাদার প্রথম অংশের লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্” ঘোষণা হচ্ছে আসলে [negation বা] অস্বীকার করা ও [affirmation বা] নিশ্চিত করা – এই দুইয়ের সমন্বয় [বা combination]। প্রথমে অন্য কোন [প্রকৃত] “ইলাহ্”র অস্তিত্ব অস্বীকার করা হয়েছে এবং পরে একমাত্র প্রকৃত ইলাহ্, আল্লাহর অস্তিত্বকে ব্যতিক্রম হিসেবে প্রত্যয়ন করা হয়েছে। এটাকে আরবী ভাষায় সবচেয়ে শক্তিশালী [বা all inclusive] এক ঘোষণা বলে গণ্য করা হয় – যেখানে ঘোষণায় [বা statement-এ] কোন ফাঁক থাকে না – পরে অন্য কিছু জুড়ে দেয়ার আর কোন অবকাশ থাকে না। (more…)

ভালবাসায় শিরক

[হাফিজ ইবনুল কায়্যিমের (রহ.) লেখা থেকে।] বড় (প্রধান) শিরক-কে চার ভাগে ভাগ করা যায়: প্রথম প্রকার হচেছ “কামনা-প্রার্থনায় শিরক”, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারও নিকট প্রার্থনা করা ৷ গায়রুল্লাহকে আনুকূল্য লাভের মাধ্যম, রোগমুক্তির অবলম্বন বা দুঃসময়ে ত্রাণকর্তা রূপে গণ্য করা ৷ দ্বিতীয় প্রকার হল “নিয়তের ক্ষেত্রে শিরক”, অর্থাৎ যে কার্যাবলী আদতে দূষণীয় নয়, তথাপি বিশুদ্ধভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য না হওয়াতে একান্তভাবে পার্থিব স্বার্থমগ্নতায় দূষণীয় ৷ (more…)

আপনার ধর্ম-বিশ্বাসকে শুদ্ধ করুন

আপনার ধর্ম-বিশ্বাসকে শুদ্ধ করুন-১ السلام عليكم ورحمة الله و بركاته আমরা আগেই বলেছি যে, আমরা সাধারণ মুসিলমরা প্রায় কেউই, আমাদের ধর্ম বিশ্বাসগুলো কি কি হওয়া উচিত, সেটা যখন শেখার কথা তখন [অর্থাৎ জীবনের প্রারম্ভে] methodologically শিখি না। আর তাই একটা গোটা জীবন ভুল বিশ্বাস পোষণ করেই হয়তো, আমরা কবরে চলে যাই। সম্ভাবনার দিক থেকে এই পরিণতি নিঃসন্দেহে ভয়ঙ্কর। সেজন্য আমরা আমাদের ধর্মবিশ্বাস বা ইসলামী আক্বীদাহ্ সংক্রান্ত সবচেয়ে সমাদৃত কাজগুলোর একটি, ‘আল আক্বীদাহ্ আল তাহাভীয়াহ্” থেকে বিশ্বাসগুলোকে পয়েন্ট আকারে তুলে দিতে শুরু করেছিলাম। এরই ভিতর কেউ কেউ আমাকে বলেছেন যে, ব্লগে সময় কাটাতে আসা হালকা মেজাজের ভাই-বোনদের হয়তো এসবের দিকে তাকিয়ে দেখার সময়ই হবে না । আমি, “কে জানে?” বলে সতর্ক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার চেষ্টা করেছি। এত সদস্যের মাঝে, আমার প্রচেষ্টায়, যদি একজনেরও বিশ্বাস বা আক্বীদাহ্ শুদ্ধ হয়, তবে তাও কি কম প্রাপ্তি? আর যদি কারো তাকিয়ে দেখার সময় নাও হয়, তিনিও অন্তত জানবেন যে, কখনো যদি তার “সময় হয়”, তবে তথ্যগুলো তিনি কোথায় পাবেন! আসুন তা তাহলে আমরা ‘আল আক্বীদাহ্ আল তাহাভীয়াহ্”-র ৪১ নম্বর থেকে ৫০ নম্বর পয়েন্টগুলো কি, তা একটু পড়ে দেখি: (more…)

শিয়া-doctrine-এর ফাঁদে পা দেবার আগে নিজের দ্বীনকে জানুন

শিয়া-doctrine-এর ফাঁদে পা দেবার আগে নিজের দ্বীনকে জানুন – ১ ভূমিকা: এই লেখাটি প্রাথমিক পর্যায়ে শুধু somewhereinblog-এর “ইসলাম” গ্রুপের জন্য লেখা। তারপর ঐ সাইটের আরো ২/১টা গ্রুপে অবগতির জন্য দেয়া হয়েছিল। এই লেখার ভূমিকাস্বরূপ বা পূর্বকথা হিসেবে যে লেখাটা লিখেছিলাম: ঘোলা পানিতে মাছ শিকার – তা ইতোমধ্যেই Peace in Islam-এ “পোস্ট” হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে। আমি ভেবেছিলাম এখানে আর শিয়া-doctrine নিয়ে কিছু লেখার প্রয়োজন নেই, কারণ এখানকার প্রায় সবাই practicing Muslim বলেই মনে হয়। কিন্তু গতকাল জুমু’আর খুতবায়, আমি যে মসজিদে জুমু’আর সালাত আদায় করলাম তার খতিব, বাংলাদেশে শিয়াদের অতি সাম্প্রতিক insidious অগ্রযাত্রা সম্বন্ধে আলোচনা করলেন – যা শুনে চিত্রটা, ধারণার চেয়ে অনেক ভয়াবহ বলে মনে হলো। রংপুর/সৈয়দপুর অঞ্চলে বহু বাংলাদেশী ও বাংলাভাষী মানুষ নাকি “শিয়া” হয়ে যাচ্ছেন সন্তর্পনে। (more…)

আক্বীদার আরো কিছু পয়েন্ট

السلام عليكم ورحمة الله و بركاته আমরা সবাই, পৃথিবীর এই সীমিত জীবনে, সব সময়ই কাউকে না কাউকে ভালোবাসি। সময়ের যে কোন একটা cross section-এ এমন কেউ থাকে, যাকে আমরা মানুষের মাঝে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি – তা বাবা, মা, স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে এমনকি কোন বন্ধুও হতে পারে। এই ভালোবাসার প্রকাশ ঘটে নানাভাবে। আমরা ছেলেবেলায় দেখেছি, মা ঘরের কাজের বুয়াকে খুব স্পেশাল মজাদার কোন খাবার দিলে, সে তা না খেয়ে তুলে রেখে দিচ্ছে তার ছোট্ট বাচ্চাটার জন্য – কি selfless স্নেহ তাই না। আপাত দৃষ্টিতে মনে হয় ঐ মা (গল্পের বুয়া) তার বাচ্চার জন্য স…ব করতে পারে। ধরুন ঐ মা যদি জানে যে, কোন কারণবশত তার ঐ সন্তানের দেহ আগুনে পোড়ানো হবে এবং তার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পুড়ে ছাই হবে, তাহলে কি সে বসে থাকবে? নিশ্চয়ই না! সন্তানকে আগুন থেকে বাঁচাতে সে সর্বস্ব নিয়োগ করবে। (more…)

মুসলিম Set of Beliefs এর বাকী কিছু পয়েন্ট

السلام عليكم ورحمة الله و بركاته আমরা আবার মুসলিম ধর্মবিশ্বাসের [বা আক্বীদার] পয়েন্টগুলোতে ফিরে যাবো ইনশা’আল্লাহ্! আমরা প্রথম ৩২টি পয়েন্ট তুলে দিয়েছিলাম। আজ ইনশা’আল্লাহ্ পরের কয়েকটি তুলে দেবো: ৩৩)কুর’আন আল্লাহর বাণী। এটা তাঁর কথা(speech) – যা কিভাবে সম্ভব হয়েছে তা জানা নেই। তিনি রাসূলের কাছে অহী হিসেবে এটা পাঠিয়েছেন। মু’মিনরা পরম সত্য হিসেবে এটাকে গ্রহণ করে। তারা নিশ্চিত যে সত্যিই এটা আল্লাহর কথা। এটা সৃষ্ট নয় – যেমন মানুষের কথা হয়ে থাকে, এবং যে এটা (অর্থাৎ কুর’আন) শোনে এবং দাবী করে যে, এটা মানবীয় ভাষণ, সে অবিশ্বাসীতে পরিণত হয়। আল্লাহ্ তাকে সতর্ক করেন, বিধিনিষেধ আরোপ করেন এবং আগুনের ভয় দেখান যখন তিনি বলেন, ‘আমি তাকে আগুনে পোড়াবো’ (আল মুদ্দাস্সির, ৭৪:২৬) যখন আল্লাহ্ তাদের আগুনের ভয় দেখান যারা বলে, ‘এটা শুধুমাত্র মানুষের বাণী’ (আল মুদ্দাস্সির, ৭৪:২৫)। আমরা নিশ্চিতভাবে জানতে পারি যে, এটা মানবজাতির প্রতি সৃষ্টিকর্তার বাণী এবং এটা সম্পূর্ণই মানবজাতির ভাষণের বিপরীত। (more…)

আল্লাহ্ সংক্রান্ত সঠিক বিশ্বাস (বা আক্বীদাহ্)

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ السلام عليكم ورحمة الله و بركاته আগেই যেমন বলেছি যে, এখন থেকে প্রায় ১২০০ বছর আগে রচিত “আল আক্বীদাহ্ আল তাহাভীয়াহ্” ছিল আক্বীদাহর উপর এক যুগান্তকারী কাজ যা নিয়ে, যার ব্যাখ্যা নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে পরবর্তী সময়ের বহু আলেমের জীবন কেটে গেছে। “আল আক্বীদাহ্ আল তাহাভীয়াহ্”-য় লিপিবদ্ধ ইসলামী বা মুসলিমদের ধর্মীয় বিশ্বাসের ১০৫ টি পয়েন্টের প্রথম ২৮টি হচ্ছে আল্লাহ্ সংক্রান্ত বিশ্বাস। আমরা ইনশাল্লাহ্ একে একে সেগুলো উল্লেখ করবো: (more…)

আক্বীদা সম্বন্ধে জানার উপায়

السلام عليكم ورحمة الله و بركاته রাসূল(সা.) বেঁচে থাকতে কাউকে ভাবতে হয়নি “কি বিশ্বাস করতে হবে” আর “কি বিশ্বাস করা যাবে না”। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পর পর, বিশেষত উমর (রা.)-এঁর সময়, ইসলামের এত দ্রুত প্রসার ঘটে যে, ধর্মান্তরিত মুসিলমদের নতুন জনসংখ্যাকে সামাল দেয়া বেশ কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। মুসলিমদের quantity বাড়লেও quality বা গুণগত মান হ্রাস পায় – নতুন মুসলিমদের অনেকেই তাদের আগের ধর্মের, তথা, জাতীয়তার সংস্কার ও কু-সংস্ককারের “লট-বহর” সঙ্গে নিয়ে ইসলামে প্রবেশ করেন। এতে আক্বীদাতে বা বিশ্বাসে ভুল-ত্রুটি মিশ্রিত হতে শুরু করে। উদাহরণস্বরূপ আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমররে(রা.) জীবদ্দশায়ই, বসরায় একদল লোক ঈমানের ৬ টি স্তম্ভের একটিকে – অর্থাৎ ক্বদরকে – অস্বীকার করতে শুরু করে এবং সেখান থেকে দু’জন এসম্বন্ধে জানতে আসলে, তিনি তাঁর বাবা উমর (রা.) সূত্রে “হাদীস জিবরীল” নামক বিখ্যাত হাদীসখানি বর্ণনা করেন, যাতে সুনির্দিষ্টভাবে ইসলাম ও ঈমানের স্তম্ভগুলি এবং ইহসান সম্বন্ধে বলা হয়েছে। (more…)

শুদ্ধ আক্বীদাহ বা বিশ্বাসের গুরুত্ব

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ السلام عليكم ورحمة الله و بركاته আমরা সবাই স্বপ্ন দেখে থাকি – না, আভিধানিক অর্থে যে স্বপ্ন, আমরা তার কথা বলছি না, বরং, আমাদের ভালোলাগা বিষয়াদি বাস্তবায়নের স্বপ্নের কথা বলছি আমরা এখানে। আমরা যারা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি যে, ইসলাম আল্লাহর কাছ থেকে এসেছে এবং ইসলাম আমাদের জন্য আল্লাহ্-নির্ধারিত এক জীবনব্যবস্থা, যেমনটা তিনি কুর’আনের ৫:৩ আয়াতে বলেছেন, তারা নিশ্চয়ই মনের গোপন কোণে এমন স্বপ্ন লালন করে থাকি যে, আমরা একদিন হয়তো আবারো মদীনার স্বর্ণ-যুগের মত একটা সময়ে ফিরে যাবো – যখন হযরত উমর(রা.) বা উমর বিন আব্দুল আজিজের মত কেউ পৃথিবী শাসন করবেন – পৃথিবীতে কোন অবিচার থাকবে না, অনাহার থাকবে না, থাকবে না মানুষের উপর মানুষের শাসন বা শোষণ…। কিন্তু আপনি কি ভেবে দেখেছেন যে, আপনার এমন স্বপ্ন যদি সত্যিই বাস্তবায়িত হয়, (more…)

আর কিছুই আল্লাহর মত নয়

السلام عليكم ورحمة الله و بركاته যারা Karen Armstrong-এর History of God বইটি পড়েছেন বা অন্তত দেখেছেন, তারা হয়তো দেখেছেন যে, ঐ বইয়ের প্রচ্ছদে এক বিখ্যাত চিত্রশিল্পীর আঁকা একটা চিত্র রয়েছে, যাতে দেখা যাচ্ছে যে, শূন্যে ভাসমান বিশাল দাড়ীওয়ালা এক পক্ককেশ বৃদ্ধ এক তরুণের দিকে হাত বড়িয়ে আছেন, আর মনে হচ্ছে যে তরুণটি তাকে ছুঁয়ে দেখতে চেষ্টা করছে। বলা বাহুল্য এই ছবির ঐ বৃদ্ধকে, চিত্রকর ঈশ্বর বলে বোঝাতে চেয়েছেন, আর, তরুণটি হচ্ছে মানবসন্তান। গ্রেকো-রোমান “দর্শন” দ্বারা প্রভাবিত এবং নানা বিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাওয়া খৃষ্টধর্মের ঈশ্বরের ধারণা “নরত্ব আরোপ” বা anthropomorphism-এর সীমা ছাড়িয়ে বেশীদূর যেতে পারেনি। (more…)