সাফারী

আমাদের দেশটা ক্রমেই একটা সাফারীতে পরিণত হচ্ছে কালাহারি, সেরেনগেটির মত সাফারী - যেখানে বাঘ, সিংহ, হায়না, গন্ডারেরা মুক্ত স্বাধীন ঘুরে বেড়ায় যখন তখন একে অপরকে ধাওয়া করে, ছিঁড়ে কুটে খায়, হত্যা করে। যেখানে নিয়মহীনতাই নিয়ম, যেখানে আইনশূন্যতাই আইন! আমাদের দেশটা একটা সাফারী হতে চলেছে (more…)

হে ঘাতক!

[এই পর্বের প্রথম প্রচেষ্টা রয়েছে এখানে: https://marinerbd.wordpress.com/2015/10/22/হে-ঘাতক/ হে ঘাতক! ভেবো না তুমি আমায় কথার মায়াজালে ভুলিয়ে রাখবে। আমি ঠিকই আমার ভাইয়ের প্রতি বিন্দু রক্তের বদলা চাইবো - চোখের বদলে চোখ, দাঁতের বদলে দাঁত, নাকের বদলে নাক। তা সে যতদনিই লাগুক! ভেবো না তুমি জনতার একজন হয়ে যাবে- সময়ের ব্যাবধানে, মিশে যাবে আর সকলের সাথে, সকলের মাঝে। ঘাতক! আর হুকুমের আসামী ছায়া-ঘাতক!! হ্যাঁ তোমাকেও বলছি, শুনে রাখো: ভেবো না আমার ভাইয়ের সমাধিতে ফুল দিলেই আমি ভুলে যাবো সব! আর অনায়াসে তুমি আমার ভাই-বন্ধু কিছু হয়ে যাবে!! দাবার ছকে বড়ে আর মন্ত্রী এক নয়, কিস্তি…continue reading →

দিবস দিয়ে কি ভালোবাসা হয়!

দিবস দিয়ে কি ভালোবাসা হয়, নাকি ভালোবাসার কোন দিবস হয়! তাহলে সবাই ঐ এক দিবসের আয়ুই চাইতো - এক জীবনের নয়। খুঁজে পেতে কি ভালোবাসা হয়? তাহলে অনেকেই “হিলারী-তেনজিং” হয়ে এভারেস্টে যেতেও রাজী হতো - প্রেম ভালোবাসা বয়ে নিয়ে আসতে। ভালোবাসা কি ফুলের তোড়া বা কাঁচের বাক্সে সাজানো কোন কেক/চকোলেট ? অথবা বিজ্ঞাপনের কোন পণ্য, যা পয়সা থাকলেই যে কারো হতে পারে? তাহলে তো “বিল-গেটস” আর "সরোস”রাই পৃথিবীর সব ভালোবাসা কিনে নিতো! আর কারও জন্য কি একফোঁটা ভালোবাসা কোথাও পাবার উপায় থাকতো? ভালোবাসা তাহলে ফুল নয়, কেক নয়, অযথা কথার ফুলঝুরিও নয় অশ্লীল…continue reading →

ঘৃণার সুনামী

পৃথিবীর মানচিত্র থেকে, তোমার মুছে যাওয়াই যদি আমার অস্তিত্বের একমাত্র শর্ত হয় - তবে তাই হোক, আমি তাই চাইবো। আমার মানচিত্র টিকিয়ে রাখতে, তোমার মানচিত্রের ছিন্ন-ভিন্ন হওয়া যদি অপরিহার্য ও অনিবার্য হয়, তবে তাই হোক, আমি তাই চাইবো। (more…)

মানচিত্রের সবুজ রঙ

একটা স্বপ্ন, যা এই পোড়া চোখে অহরহ ভাসে - কখনো ঘুমের মাঝে দেখি, তবে জেগে থেকে সর্বদাই দেখি। মাঠের পর মাঠ, প্রান্তরের পর প্রান্তর কেবল সবুজ ছড়িয়ে আছে - আমার প্রিয়জনের প্রিয় রঙ, সবুজ ছড়িয়ে আছে সর্বত্র। অপরূপ, অদ্ভুত একটা স্বপ্ন যা আমার চোখে সর্বদাই ভাসে - মানচিত্রের শত রঙ বিলীন হয়ে যায় মাত্র দু'টি রঙে: একটি সবুজ, আরেকটি কি তাতে আসে যায় না। প্রিয়জনের স্বপ্নের রঙ, সবুজ যেন ছড়িয়ে আছে সর্বত্র - প্রাণের রঙ, জীবনের রঙ সবুজ যেন ছড়িয়ে আছে সর্বত্র। (more…)

নির্বোধের স্বর্গবাস

একটি বিষাদ ভুলিয়ে রাখতে আমার চারপাশে কত আয়োজন। আমায় সবাই বোঝাতে চায়, আমার কোন ভয় নেই- আমার কিছুই হবে না, যা হবার হবে অন্য লোকের। একটি সত্য ভুলিয়ে রাখতে, আমাকে ঘিরে কত আয়োজন। কখনো ভারত নাট্যম, শাহরুখ-সন্ধ্যা, আবার কখনো কথক নৃত্য অথবা বিশ্বকাপের বর্ণাঢ্য আলোকসজ্জা- রবীন্দ্র সঙ্গীত সন্ধ্যা, কিংবা ব্রায়ান এডামসের গান- বৈশাখের ইলিশ-পান্তা, নারীর পিঠে উল্কির আহ্বান! সবাই কেবল একটি সত্য ভুলিয়ে রাখতে চায় - সেই সাথে আসলে নিজেরাও ভুলে থাকতে চায়। নেশাগ্রস্তের মতই, অক্ষমতা -অথবা- কিছু না করতে পারার বেদনা - সবাই যেন আপাতত ভুলে থাকতে চায়। (more…)

আর যাকে বলতে চাও বল

সার্বভৌমত্ব হারিয়েছে তোমার - ফেলানীর মৃত্যুতেই কি মনে হলো? সার্বভৌমত্ব কাকে বলে, তুমি হয়তো তা জানোই না! সে তো কবে কখন হারিয়ে গেছে- সময়ের কোন অদৃশ্য বাঁকে। জন্মের আগেই বুঝি মৃত্যু ঘটেছে তার - ইতিহাস-জরায়ূর অন্ধকার গহ্বরে! হ্যাঁ, আমি অবশ্য সার্বভৌমত্ব বলতে নিঃশর্ত সার্বভৌমত্বই বোঝাতে চাইছি! সে কবে কখন হারিয়ে গেছে- সময়ের কোন অদৃশ্য বাঁকে। আজ পেছন ফিরে খুঁজতে চাইলে গোলক ধাঁধাঁর মত দুর্বোধ্য ঠেকে! (more…)

স্বাধীনতা তুমি কোথায় লুকিয়ে রয়েছো?

[গত ১৫/১২/২০১০ তারিখে অন্য ব্লগে প্রকাশিত - যখন খবর এসেছিল ওরা পাদুয়া দখল করে নিয়েছে] স্বাধীনতা তুমি কোথায় লুকিয়ে রয়েছো? তোমাকে নিয়ে কত কাব্য, কত কথকতা! তুমি কি আজকের খবর পড়েছো? দেখেছো দেশের মানচিত্রের আরেকটি অংশ- কেমন খুবলে ছিঁড়ে খেলো ব্রাহ্মণ্যবাদীরা। এমনিতে ওরা নাকি নিরামিষাশী, নিজের দেশকে "মা" জ্ঞান করে। কিন্তু অপরের মায়ের অংশ বা "মাংস" - অনায়াসে ছিঁড়ে-কুটে খেতে পারে! তুমি কি তাহলে লজ্জায় কোথাও লুকিয়ে আছো? (more…)

অনেকেই দেশটা নিয়ে আশায় বুক বেঁধেছে

আমাদের জন্মভূমি এই দেশটা - আমরা যাকে বাংলাদেশ বলি; ছোট বা গরীব হলেও, অনেকেই দেশটা নিয়ে আশায় বুক বেঁধেছে! ড্যানিশ বা সুইডিশ পর্ণো-রাজ্যের বাসিন্দারা - নিজেরা ধর্মকে এক প্রকার তালাক দিলেও - এদেশে জমজমাট ধর্ম-ব্যবসায় খুলে খুবই আশান্বিত - পার্বত্য এলাকায় আরেকটা পূর্ব-তিমোর - এখন বুঝি কেবলই সময়ের ব্যাপার মাত্র - প্রায় অনিবার্য! ছোট বা গরীব হলেও - দেশটা নিয়ে তারা আশায় বুক বেঁধেছে! (more…)

হ্যামিলনের বংশীবাদক

হে শয়তান! তুমিই কি জার্মান রূপকথার সেই বংশীবাদক? হ্যামিলনের ছেলেমেয়েরা যার পদাঙ্ক অনুসরণ করেছিল, হারিয়ে গিয়েছিল অজানা অনন্তে - চিরদিনের তরে! তুমিই কি তবে ভিন্ন ভিন্ন রূপে বার বার ঘুরে ফিরে আসো - পৃথিবীর যত্র-তত্র শহর বন্দর গ্রামে, লোকালয়ে ? নতুন নতুন বাঁশী হাতে, নতুন নতুন সুর নিয়ে? হালে তুমি আমার মুসলিম বাসভূমেও ঘন ঘন আসতে শুরু করেছো, কত রূপে, কত রঙে - কত নতুন সুরের নতুন নতুন বাঁশী হাতে! তুমি চির নিরাশ, নরকের নিশ্চিত অধিবাসী ৷ (more…)

হে নাস্তিক…!

হে নাস্তিক! আমি তো তোমার কাছে ঈশ্বর প্রমাণ করতে চাই নি!! তবে কেন তুমি গায়ে পড়ে আমার সাথে ঝগড়া কর, তর্ক জুড়ে দাও? মানব জীবন কেমন হবার কথা - আমি কি তোমার কাছে জানতে চেয়েছি? তবে কেন তুমি তোমার জীবনের অর্থহীনতা দিয়ে, আমার জীবনকে অর্থবহ করে তুলতে চাও? তুমি থাকোনা তোমার অর্থহীন "প্যাঁচাল” নিয়ে - কষ্ট করে চয়ন করা দুর্বোধ্য শব্দে ইনিয়ে বিনিয়ে নারীর দেহ সৌষ্ঠবের বর্ণনা, অথবা, যৌনতার শরীরী প্রকাশ বা প্রেম ভিক্ষা নিয়ে ৷ (more…)

কতটুকু, কতক্ষণ…

বেঁচে থাকা হয়তো জরুরী - তবে কতটুকু? মরে যাওয়া হয়তো ভয়ের - তবে কতটুকু? প্রতিদিন দানবের হাতে মানবের নিগৃহীত হবার ছবি, অথবা খবর ৷ প্রতিদিন বান্দরের হাতে সুন্দরের অপমানিত হবার ছবি, অথবা খবর ৷ তারপরও বেঁচে থাকা কি এতটা জরুরী? তারপরও মরে যাওয়া কি এতটা ভয়ের? তারাবীর জামাতে দাঁড়ানোর জায়গা পাওয়া ভার - অথচ মিডিয়ায়, পত্রিকায়, নাস্তিকের হাতে বিশ্বাসীর সকাল-বিকাল নিগৃহীত হবার, অথবা, মিথ্যার কাছে সত্যের পরাজিত হবার কত সমাচার! এখনকার দুঃসময়ে বুঝেও না বোঝার ভান করা হয়তো জরুরী - তবে কতক্ষণ? স্বাধীনতার গান গাইতে গাইতে, শৃঙখলিত হওয়াও হয়তো কৌশল - তবে কতক্ষণ?…continue reading →

“ওদের” মত হতে চাওয়া এই “আমরা”

কাক ময়ূর হতে চায়, এমন কথা শোনা যায়; কিন্তু ময়ূরের কাক হতে চাওয়া ? এখনকার দুঃসময়ে, তাও শোনা যায় ! চারিদিকে অগণিত কাকের কা কা রব, আর তীক্ষ্ম ঠোটের সম্মিলিত আঘাত - এসব থেকে বাঁচতে, ময়ূরও কাক হতে চাইতে পারে – আর কখনো সত্যিই চায় ! নিজের ব্যক্তি-স্বাতন্ত্র্য, বেশ-ভূষার দাবী - সব বিসর্জন দিয়ে কাকের দলভূক্ত হবার আকুতি – বিশ্বাসী মুসলিমের সুশীল হবার করুণ প্রচেষ্টা ৷ কিন্তু শয়তানের সাথে মানুষের যে চিরন্তন যুদ্ধ, তার কি হবে ? মানুষ যদি শয়তানই হতে চাইবে, তবে তো শুরুর আগেই সে যুদ্ধ শেষ - যেন স্বেচ্ছায় হার মানা হার পরে নেয়া ৷ ইসলামী নৃত্য, ইসলামী গীত, ইসলামী টেলিভিশন, ইসলামী নাটক কিংবা ডেটিং-এর ইসলামীকরণ - আরো কত কি – টিকে থাকতে ময়ূরের কাক হতে চাওয়া ৷ যেন শুরুর আগেই অঘোষিত যুদ্ধে হার মেনে নেয়া ৷ যে শত্রুর মত হতে চায়, তাকে দিয়ে কি যুদ্ধ হয়? সে তো যুদ্ধের আগেই বিজিত, পরাজিত – জীবন সংগ্রামে “ওদের” মত হতে চাওয়া এই “আমরা”!! চলনে বলনে “ওদের” মত হতে চাওয়া এই “আমরা”!! চিন্তায় চেতনায় “ওদের” মত হতে চাওয়া এই “আমরা”!! (more…)

এখনো তবুও তো বেঁচে আছি

বহুদিন মানুষের চোখ দিয়ে জগৎ-সংসার দেখা হয় না! ইট, বালু, কাঠ, পাথর বা আরো যত জড় বস্তু - সেসবের চোখ দিয়েই, অনিমেষে চেয়ে দেখি ঘটমান বর্তমানকে। পেঁয়াজের খোসার মত পরতের পর পরত, একে একে ঝরে পড়ে মূল্যবোধগুলো - কারা যেন তীক্ষ্ণ নখের আঁচড়ে তুলে নেয় লজ্জা-শরমের আবরণগুলো - আমরা ভাবি: হোক না, দেহে প্রাণ নিয়ে তবু তো এখনো বেঁচে আছি - আবরণগুলো গেলেও, ভেতরের শাঁসটুকু তো বেঁচে আছে! (more…)

তোমরা যা বলো, তাই বলো

আর কেউ না হোক, তুমি তো আমার হৃদয়ের রক্তক্ষরণ দেখতে পাও। এ হৃদয়ের অলিন্দ নিলয় থেকে যখন টপ টপ করে শেষ-প্রায় রক্তের ক্লান্ত ফোটা ঝরে- তুমি তা দেখ তো? তোমায় বোঝাতে পেরেছি তো যে, তোমারই জন্য আমার চুপ থাকা, সকল লাঞ্ছনা-গঞ্জনা মুখ বুজে সওয়া, নিজের লজ্জা অভিমান সব ভুলে যাওয়া। অবুঝ এই তারুণ্যকে কে বোঝাবে: আনন্দ আনন্দ বলে চেঁচালেই প্রশান্তি আসে না - বরং অন্তঃসারশূন্য হৃদয় আরো একধাপ শূন্য হয়, নিঃস্ব হয়, আনন্দের স্থপতিদের কারসাজিতে; কেউ হয়তো সর্বস্ব হারায় বিবস্ত্র সেই বাঁধনের মত। (more…)

কি আমার ঐতিহ্য?

এই তো, আর মাত্র দু’দিন বাকী, বৈশাখী “মিলন-মেলায়” ম’ ম’ করবে ঢাকা শহর। আমার আজন্মের ভালোলাগা ভালোবাসা শহর!! এ শহরে আমার পিতার কেটেছিল অর্ধ শতাব্দী - আমার কেটে যাচ্ছে গোটা একটা জীবন। আমার পিতা আমাকে অনেক কিছুই বলে গেছেন - শিখিয়ে গেছেন: ”সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি..।” আরো কত কি! কই বলেন নি তো - বৈশাখ বিনে আমার ম্লেচ্ছ জীবন বৃথা!! অথবা মুখে-বুকে-পিঠে উল্কি না আঁকলে আমার বৌ-ঝিয়ের বাঙালী পরিচয় নিয়েই টানাটানি! বরং শুনেছি সময়টা সর্বহারা কৃষক-শ্রমিকের করুণ দুঃসময় - “ধানাই-পানাই” আর বরদাস্ত করে না রক্ত-চোষা মহাজন। চড়াও হয় ঋণগ্রস্ত মানুষের উপর; নোবেল প্রাইজ চায় না তারা- এসব মহাজনেরা কেবলই সুদে-আসলে তাদের পাওনা চায় । (more…)

“জেনেরিক” ইসলাম

তোমাকে কতবার বলেছি, আমায় অন্ধ করে দিও না- পূর্ণ না হোক, আংশিক অন্ধও করে দিও না। আমার চোখে তোমার রঙিন চশমা এঁটে দিও না। বিধাতার রঙে রঙিন পৃথিবী দেখতে আমায় বাধা দিও না - আমাকে প্রাণভরে দেখতে দাও, আমার নিজ চোখে। তেমনি আমায় বুক ভরে জীবন গ্রহণ করতে দাও - স্বচ্ছ সত্য গ্রহণ করতে দাও। তোমার দোষে দুষ্ট - দূষিত পরিবেশে আমায় শ্বাস নিতে বাধ্য কোর না! (more…)

ইসলাম ইসলাম খেলা

ইসলাম ইসলাম খেলা তো অনেক হলো, এবার নাহয় "ইসলাম" শেখা যাক। বহু ব্র্যান্ডের ইসলাম তো দেখা গেলো, এবার না হয় "জেনেরিক ইসলাম" চেনা যাক। অন্ধরা সব হাতী দেখে লোক ডাকলো হাতীর বর্ণনা দেবে বলে, কেউ বললো: কুলার মত কানই হাতী - আবার কেউ বললো: গাছের কান্ডসম পা-ই হাতী। যার মনে যা ধরলো তাই বললো। জীবনে কখনো হাতী-না-দেখা অজ্ঞ মানুষের বিকল্প নেই সে সব শোনা ছাড়া। (more…)

আমার এই ছোট্ট এক টুকরো জমিন

আমার এই ছোট্ট এক টুকরো জমিন- কি এমন মধু রয়েছে তাতে? সেই কবে থেকে বর্গীরা আসছে তো আসছেই হাড় জিরজিরে অবোধ মানুষের সব লুটে পুটে খেতে। আমার এই এক টুকরো ছোট্ট জমিন, ঠিক কবে প্রথম তস্করদের নজরে পড়েছিল? মনে করতে চেষ্টা করি - সে এক বিশাল ধারাবাহিকতা: পলাশী থেকে মাগুরছড়া, টেংরাটিলা কিংবা মন্দিরটিলা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে লুটপাটের উপাখ্যান- কখনো বন্ধুবেশে, কখনো বণিকের বেশে এসেছে লুটেরারা- কখনো ত্রাণকর্তা হিসেবে, আমায় উদ্ধার করতে। (more…)

এই হাত দু’টো কবিতা লেখার জন্য সৃষ্টি হয়নি

এই হাত দু’টো কবিতা লেখার জন্য সৃষ্টি হয়নি। এই মস্তিষ্ক কখনো বুদ্ধিবিক্রীর বেশ্যাবৃত্তি করতে চায়নি। এই মনটা চেয়েছিল নির্ঝঞ্জাট একটা কর্মজীবী জীবন। হাতুড়ী-বাটাল বা অতি সাধারণ আর কোন যন্ত্রপাতি ব্যবহারে, নিতান্তই ছা-পোষা জীবিকার কোন আয়োজন। মনটা চেয়েছিল, প্রকৃতির মাঝে একাকী, নিভৃত, একটা জীবন। কিন্তু কোলাহোল থেকে বেঁচে থাকা আর হলো না - অগত্যা কলম ধরতেই হলো, নাহলে বন্দুক ধরতে হতো। যারা কথা কইতে জানতো, আর সত্যিই কিছু করতে পারতো, তারা যখন প্রাপ্তির নেশায় চুর - ব্যস্ত টাকা-আনা-পাইয়ের হিসাবে। (more…)