সমুদ্রে জীবন-১০

সমুদ্রে জীবন-১০

ঝড়ের আর জাহাজ-ডুবির গল্প শোনানো হলো গত সংখ্যায়। এর আগের আরেকটি সংখ্যায় বলেছিলাম যে, কিভাবে ঝড়-তুফানের আগাম/আগমনী সংবাদ পেলে আমাদের বন্দর থেকে বের করে দেয়া হয়। সকল ইন্ডাস্ট্রীর মতই, এখানেও মানুষকে নাম্বার হিসাবেই দেখা হয়। একটা জাহাজ-কোম্পানীর মালিক পক্ষের কাছে, কোন একটা দুর্ঘটনায় তাদের "সম্পদ" নষ্ট হলো কি না - সেই প্রসঙ্গটাই আগে আসে। মানুষের ব্যাপারে আসলে, তাদের কোন compensation দিতে হবে কি না , না কি ইনস্যুরেন্সের ঘাড়ে সব চাপিয়ে দেয়া যাবে, এসব চিন্তা ভাবনাই প্রাধান্য পায়। তাছাড়া কোম্পানীর বদনাম হবার ভয়টাও তাদের থাকে। আজকালকার ব্যয়বহুল কন্টেইনার জাহাজগুলোতে, জাহাজে কমর্রত লোকজনের উপর এত "চাপ" থাকে যে, অনেক সময় সে চাপের বশবর্তী হয়েই মানুষ অনেক ধরনের ভুল করে বসে! (more…)

ইব্রাহিম, ইসমাঈল ও ইসহাক (আ.) সম্বন্ধে মুসলিমদের জ্ঞাতব্য

আগের কথামত, "সামু"র সকল মুসলিম ভাই-বোনদের অবগতির জন্য, ইসলামর উপর প্রশ্নোত্তরের জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ডাটা-বেস Islam Q&A থেকে আমি একটা দলিল অনুবাদ করে নীচে তুলে দিলাম: ========= কোন ছেলেকে কুরবানী দেয়ার কথা বলা হয়েছিল? প্রশ্ন: আমি জানি যে, মুসলিম বিশ্বাসমতে নবী ইব্রাহীম(আ.) তার ছেলে নবী ইসমাঈলকে(আ.) কুরবানী করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু একজন অমুসলিম, যার সঙ্গে আমার কথাবার্তা হয়েছে, তিনি উল্লেখ করলেন যে, ব্যাপারাটা কুরআনে বলা নেই। ব্যাপারটা নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে মনে হল যে, কোন ছেলেকে কুরবানী করার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছিল সে ব্যাপারে কুরআনে কিছু বলা নেই(অন্তত আমার কাছে যে ইংরেজী অনুবাদটা আছে, সেটার ৩৭ নম্বর সূরায় আমার তেমনই মনে হলো)। দয়া করে নবী ইব্রাহীম(আ.) এবং তিনি যে কুরবানী করতে চেয়েছিলেন, সে ব্যাপারে মুসলিমদের অবস্থানটা দলীল-প্রমাণ সহকারে ব্যাখ্যা করুন। জাযাকাল্লাহু খাইর। (more…)
সমুদ্রে জীবন -৯

সমুদ্রে জীবন -৯

একটা জাহাজের structure বা form কেমন, তার উপর নির্ভর করবে সে কি রকম দুলবে - সেই দোলাটা দ্রত লয়ে হবে না ধীর লয়ে হবে - আর সেই rolling বা pitching মানুষের কাছে সহনীয় হবে না অসহনীয় হবে তাও। আবশ্য কে কতটুকু দোলা-দুলি সহ্য করতে পারবেন, তা খানিকটা জন্মগতও বটে। এই জন্মগত ব্যাপারটাও আবার কখনো সময়ের সাথে সাথে সেরে যায় - আবার কারো ক্ষেত্রে যতই অভিজ্ঞতা হোক না কেন, কিছুতেই তা কাটতে চায় না! আমাদের একজন tough guy সিনিয়র ছিলেন - যার নিছক উপস্থিতিই জুনিয়রদের জন্য একটা ভয়ের ব্যাপার ছিলো। আমি তার সাথে কখনো sail করিনি, তবে আমার ব্যাচমেটরা যারা করেছে, তারা বলেছে যে, জাহাজে rolling/pitching শুরু হলে তার মুখটা শিশুদের মত অসহায় রূপ ধারন করতো। গড়ে মেয়েরা বেশী sea sick হয় - কেউ কেউ গোটা voyageই শুয়ে কাটায় - একদম মাথা তুলতে পারে না। তবে এর ব্যতিক্রমও আছে। একবার আমরা একটা জেনারেল কার্গো জাহাজে আমাদের এদিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছিলাম। জিব্রাল্টারের পর থেকে আটলান্টিকে একটানা প্রায় ৭/৮ দিন ৩০/৩৫ ডিগ্রী রোলিং হলো। তখন মেস রূমে খাবার খেতে ৫/৬ জন মাত্র আসতেন - তার ভিতর নিয়মিত একজন ছিলেন এক মহিলা - একজন অফিসারের স্ত্রী। (more…)
সমুদ্রে জীবন – ৮

সমুদ্রে জীবন – ৮

mariner77_1279768653_1-20d4কেবল আমি নই, যে কোন জাহাজীকেই যে কয়টি recurrent প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়, তার একটি হচ্ছে:"তুমি/আপনি কখনো সমুদ্রে ঝড়ে পড়েছো/পড়েছেন? সে সময় তোমরা/আপনরা কি করেন?" গল্পে, সাহিত্যে ঝড়ে পড়া পাখিদের বা পথ হারানো সাঁঝের পাখিদের নিয়ে, সহানুভুতি দেখিয়ে, অনেক কথা লেখা হয়। জাহাজীদের জন্য বাস্তবতাটা একদম উল্টো! যে সব অঞ্চলে হঠাৎ করেই একটা নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়ে ঝড় হবার সম্ভাবনা দেখা দেয় - সে সব অঞ্চলের বন্দরে, একটু পুরানো নাবিক মাত্রই হয়তো এই পরিস্থিতিটার অভিজ্ঞতা লাভ করে থাকবেন যে, সব কিছুই নিয়মিত বা স্বাভাবিকভাবেই চলছিল - হঠাৎ দেখলেন সাজ সাজ রব। কি ব্যাপার? জাহাজকে যথাশীঘ্র সম্ভব বন্দর ছেড়ে বাইরে চলে যেতে হবে! বাইরে মানে এমন কি Anchorage-এও নয় - একেবারে সমুদ্রে ! বরং Anchorage-এ যে সব জাহাজ অপেক্ষমান ছিল (বিশেষত inner-anchorage যদি হয়), তাদেরও বলবে বাইরে বা দূরে চলে যেতে। আমার জীবনে এমন ঘটনা বেশ কয়েকবার ঘটেছে। পূর্ব-এশিয়ায় জাপান, কোরিয়া, চীন ও তাইওয়ানের বন্দর সমূহে, "টাইফুন" মৌসুমে, যে কারো এমন অবস্থায় পড়তে হতে পারে। (more…)
সমুদ্রে জীবন -৭

সমুদ্রে জীবন -৭

জাহাজে অসুখ-বিসুখ আর disaster বা accident-এর পর্বটা তো সম্পূর্ণ শেষ হলো না - কিছু রয়েই গেল/গেছে। আমার জাহজে কখনো খুব মারাত্মক কিছু ঘটে নি - তবে আমাদের কোম্পানী ৬০+ জাহাজের অনেক কয়টিতেই দুর্ঘটনাজনক মৃত্যু যেমন ঘটেছে, তেমনি জীবনের তরে পঙ্গু হয়ে যাবার মত দুর্ঘটনাও ঘটেছে। আমাদের কোম্পানীতে নিজেদের জাহাজগুলোর মাঝে সার্কুলেশনের জন্য বেশ কিছু ম্যাগ্যাজিনের মত জিনিস ছিল - যার একটি ছিল Fleet Safety News । এর মাধ্যমে আমরা কোন জাহাজে কি ঘটলো তা জানতে পারতাম। অধিকাংশ দুর্ঘটনার সাথে human error-এর একটা সম্পর্ক থাকতো! মানুষ তো আর রোবট নয় - সে কখনো একটা জানা ব্যাপারও ভুলে যেতে পারে - আবার কোন একটা ব্যাপার তার চোখ এড়িয়ে যেতে পারে। (more…)

They are either extremely smart OR….

They are either extremely smart OR extremely ignorant - এটা একটা বইয়ের নাম - যা, যে কেউ নীচের লিংক থেকে বিনা পয়সায় ডাউনলোড করে পড়তে পারবেন, ইনশা'আল্লাহ্: extremelysmart.wordpress.com/download-my-book/ যারা বিশ্বাসী, যারা নিঃসঙ্কোচে নিজেকে মুসলিম বলে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করেন - নাস্তিক ও অবিশ্বাসীদের গায়ে পড়ে বাক-বিতন্ডার মুখে তাদেরকে অনুপ্রাণিত করার জন্য এটা একটা অত্যন্ত সুন্দর সংগ্রহ। যারা দুর্বলচিত্ত মুসলিম, তারাও এই বই থেকে সামনে চলার শক্তি লাভ করবেন ইনশা'আল্লাহ্ - যখন তারা দেখবেন যে, তাদের নাজেহাল করতে চাওয়া নাস্তিকদের চেয়ে শত-সহস্রগুণে smart - এক কালের ইহুদী, খৃষ্টান বা অবিশ্বাসীরা নিজেদের ইসলামে দাখিল করে…continue reading →

মুসলিমদের সংযত আচরণ

আমি এই নিকে "আমার ব্লগে"ও লিখি। আমার ব্লগে প্রগতিশীল ও সুশীলদের অন্যতম প্রধান characteristic হচ্ছে এই যে, তারা সাধারণত অবিশ্বাসী বা সংশয়বাদী এবং তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে পারেন। ইসলাম সম্বন্ধীয় যে কোন লেখাকেই তারা, একরকম গায়ে পড়েই, হাস্যকর কিছুতে পরিণত করতে সচেষ্ট হন এবং অনেক ক্ষেত্রেই লেখকদের শেষ পর্যন্ত "ছাগু", "রাজাকার" ইত্যাদি নামে আখ্যায়িত করার চেষ্টা করেন। গালি গালাজের দিক থেকে সামুতে অবস্থাটা অনেক ভালো - এখানকার পরিবেশ রীতিমত "ভদ্রজনোচিত" বলা যায় । এখানকার নাস্তিকরাও অনেক পরিশীলিত - যদিও যে কোন মুসলিমকে মুহূর্তে "তুই-তুকারি" করতে বা "ছাগু", রাজাকার" ইত্যাদি বলতে তারাও পিছ পা হন না। মুখে গণতন্ত্রের মুখোশ আঁটা থাকলেও - তাদের মন মত কিছু না হলেই My way, or no way মনোভাবটা মুহূর্তে প্রকট হয়ে ওঠে। এসব সত্ত্বেও আমি বলবো (ইসলামী ব্লগগুলো ছাড়া) বড় ব্লগগুলোর ভিতর সামুর পরিবেশই সবচেয়ে ভদ্র, মার্জিত আর লেখাগুলোও বেশীরভাগ মোটামুটি মান সম্পন্ন! তবুও দেখুন একজন ভদ্র ছেলে ইসলাম সম্বন্ধীয় আমার একটা লেখায় (www.somewhereinblog.net/blog/mariner77/29187816 ) সহানুভূতি দেখাতে গিয়ে দুঃখ করে কি বলেছেন: (more…)
সমুদ্রে জীবন – ৬

সমুদ্রে জীবন – ৬

হঠাৎ মনে হলো এর আগের একটা পোস্টে, (আমি যখন ঐ জাহজে ছিলাম, তখনকার) আমার কেবিনের একটা জানালার (বা port hole-এর) ছবি দিয়েছিলাম! কেউ সেটা নিয়ে কোন প্রশ্ন তোলেন নি যে:এমন সাধারণ একটা জিনিসের ছবি কেন দিলাম? আর আমিও ভুলে গিয়েছি! এই ছবিটা তোলার একটা বিশেষ কারণ ছিল। সাধারণত জাহাজের জানালাগুলোর উচ্চতা এর অর্ধেক, বা তারও কম হয়। কিন্তু দঃ কোরিয়ায় বানানো ঐ জাহাজটিতে (এবং এর আগে, এর চেয়ে কিছু ছোট দঃকোরিয়ায় বানানো আমার sail করা আরেকটি জাহাজেও) কেবল সবচেয়ে সিনিয়র দু'জন অফিসারের দু'টো কেবিন - যে কেবিনগুলোর মুখ জাহাজের সামনের দিকে - সেগুলোতে এই বিশাল সাইজের port hole-গুলো লাগানো আছে। অন্য জাহাজের জানালা বা port hole-গুলোকে, চোখ/মুখ রেখে যেন অনায়াসে বাইরে তাকানো যায় - সে রকম উচ্চতায়ই স্থাপন করা হয়, তবে কাঁচের অংশটা বড়জোর কারো বুকের নীচ পযর্ন্ত বিস্তৃত থাকে। (more…)

সত্যিকার মুসলিম হতে চাইলে সস্তা আবেগ অবশ্যই বর্জনীয়

লেখালেখির বয়স যত বাড়ছিল, আমার ততই মনে হচ্ছিল যে, আগের আবেগী লেখাগুলো না লিখলেই বোধহয় ভালো ছিল। যদিও এটা ঠিক যে, ইসলামকে ভালোবেসেই আমার প্রথম কলম ধরা। ইসলামের বা মুসলিমদের বিরুদ্ধে সকল অন্যায়ের প্রতিকারের দায়-দায়িত্ব বুঝি আমার একার ঘাড়েই বর্তায় - এমন একটা সুপ্ত অনুভূতিও হয়তো বা মনের কোন গোপন কোণে বাসা বেঁধে থাকবে। জ্ঞান ছাড়া ঈমান বা ঈমান ছাড়া জ্ঞান - স্কলাররা বলে থাকেন যে, দু’টোই খুব বিপজ্জনক। আমার জীবনের প্রথম দিকের লেখা-লেখিগুলি একাধারে আবেগী ও “বিপ্লবী”ও বলা যায় - না, রাজনীতির ভাষায় “বিপ্লবী” বলতে যা বোঝায় তা নয় - আমি বলবো অনুভবের দিক থেকে “বিপ্লবী”। “সঠিক জ্ঞান” আর “নানান দোষে দুষ্ট জ্ঞানের” ভিতর তফাৎ করার মত জ্ঞান আমার তখন ছিল না! আমরা সবাই হয়তো জীবনে এরকম একটা বিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাই। (more…)

মুসলিম জীবনে রাসূলের(সা.) ভুমিকা কি বা কতটুকু?

অবিশ্বাসী বা বিধর্মীদের কথা বাদ দিয়ে - আমরা যদি শুধু মুসলিমদের কথাই ধরি, তবু দেখতে পাবো যে, মুসলিম জীবনে রাসূল (সা.)-এর ভূমিকা ঠিক কি বা কতটুকু - তা নিয়ে মুসলিম বলে পরিচিতদের মাঝেই wide range-এর মত পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যাবে। এর অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে সঠিক জ্ঞানের অভাব। ইসলামের সকল মৌলিক ধ্যান-ধারণার মতই, ইসলামের নবীর ভুমিকা কি - তাও আমাদের জানতে হবে কেবল মাত্র "নস্" বা text থেকে। তা না করে নিজস্ব অনুমান বা conjecture-এর বশবর্তী হয়ে কথা বলে আমরা এমন সব উদ্ভট গুণাগুণ নবী(সা.) প্রতি আরোপ করেছি, যার সাথে ইসলামের যেমন সম্পর্ক নেই, তেমনি সেগুলো বিভ্রান্তিকর এবং কোন কোন ক্ষেত্রে, এমন কি, ঈমানের জন্যও ক্ষতিকর। আমাদের average বাবা-মায়েরা যেমন আমাদের কখনো বলেন নি - তেমনি আমাদের average হুজুররাও কখনো আমাদের শেখান নি যে, রাসূল (সা.)-কে "role-model" মনে করাটা মুসলিমদের জন্য ঈমানের শর্ত [হতে পারে, হয়তো তারা জানতেনই না] যেমনটা আল্লাহ্ নিম্নলিখিত আয়াতে বলেছেন: لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِمَنْ كَانَ يَرْجُو اللَّهَ وَالْيَوْمَ الْآَخِرَ وَذَكَرَ اللَّهَ كَثِيرًا "অবশ্যই তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ তাদের জন্য যারা আল্লাহ ও পরকাল প্রত্যাশা করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে ৷" (সূরা আহযাব, ৩৩:২১) (more…)
সমুদ্রে জীবন – ৫

সমুদ্রে জীবন – ৫

সমুদ্রে জীবনের আরেকটি বিষয়ে আলোকপাত করা হয় নি - সেটা হচ্ছে সমুদ্রে থাকা অবস্থায নাবিকদের, বা সোজা বাংলায় জাহাজীদের জীবনে কোন দুঘর্টনা ঘটলে বা শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিলে কি পরিস্থিতির উদ্ভব হয় বা কি ভাবে সেগুলো মোকাবেলা করা হয়? প্রথমে on board [বা জাহাজে অবস্থানকারী] চিকিৎসকের কথা আলোচনা করা যাক! সাধারণত প্যাসেঞ্জার লাইনার বা Europe/America-য় Inter-Island/International Ferries ছাড়া, মালবাহী জাহাজগুলোতে ডিগ্রীধারী পেশাদার ডাক্তার থাকেন না! তবে জাহাজের যে কোন সার্টিফিকেটধারী অফিসারকেই একটা "ফার্স্ট এইড" প্রশিক্ষণ কোর্স করতে হয় - এবং পরীক্ষা দিয়ে এই বিষয়ে সার্টিফিকেট হাসিল করতে হয়, যা কি না mandatory। জাহাজে একজন designated মেডিক্যাল অফিসার থাকেন - যিনি হচ্ছেন জাহাজের 2nd mate বা 2nd Officer। জাহাজের Medical Locker বা ডিসপেন্সারী ও (সাধারণত) ১ বেডের হাসপাতালটি তার তত্ত্বাবধানে থাকে। জাহাজে থাকা অবস্থায় নাবিকরা তুলনামূলকভাবে কম রোগাক্রান্ত হয় - আর হলেও তা সাধারণ সর্দি-জ্বর জাতীয় ব্যাপারই হয়। তবে পোর্টে গেলে হয়তো কখনো পেটের অসুখ বা অন্য কোন সংক্রামক রোগ দেখা দিতে পারে। সমুদ্রে কারো অসুস্থতা দেখা দিলে তা প্রথমেই 2nd Officer-এর কাছে রিপোর্ট করতে হয়। অসুস্থতা সাধারণ হলে, 2nd Officer-এর ঔষধ দেয়াতেই তা শেষ হয়ে যায়। তা নাহলে তা ২টি ব্যাপারের একটিতে গড়ায়: (more…)

রাসূলের (সা.) ভূমিকাসমূহ – শেষ পর্ব

[এই পোস্টটা, যারা seriously ইসলাম সম্বন্ধে জানতে চান, তাদের জন্য। আমরা যখন প্রায় "নাস্তিক" একটা মস্তিষ্ক নিয়ে বড় হচ্ছিলাম, তখন চাইলেও ইসলাম সম্বন্ধে জানার তেমন সুযোগ ছিল না - বলা যায়: আজকের মত সহজলভ্য source বা resource কোনটাই তখন ছিল না। আজ তাই যারা "searching souls" - তাদের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য পৌঁছে দিতে বড় ইচ্ছা করে।] (more…)

মুসলিম জীবনে রাসূলের(সা.) ভুমিকা কি বা কতটুকু?

অবিশ্বাসী বা বিধর্মীদের কথা বাদ দিয়ে - আমরা যদি শুধু মুসলিমদের কথাই ধরি, তবু দেখতে পাবো যে, মুসলিম জীবনে রাসূল (সা.)-এর ভূমিকা ঠিক কি বা কতটুকু - তা নিয়ে মুসলিম বলে পরিচিতদের মাঝেই wide range-এর মত পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যাবে। এর অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে সঠিক জ্ঞানের অভাব। ইসলামের সকল মৌলিক ধ্যান-ধারণার মতই, ইসলামের নবীর ভুমিকা কি - তাও আমাদের জানতে হবে কেবল মাত্র "নস্" বা text থেকে। তা না করে নিজস্ব অনুমান বা conjecture-এর বশবর্তী হয়ে কথা বলে আমরা এমন সব উদ্ভট গুণাগুণ নবী(সা.) প্রতি আরোপ করেছি, যার সাথে ইসলামের যেমন সম্পর্ক…continue reading →

রাসূলের (সা.) ভূমিকাসমূহ –৫

[এই পোস্টটা, যারা seriously ইসলাম সম্বন্ধে জানতে চান, তাদের জন্য। আমরা যখন প্রায় "নাস্তিক" একটা মস্তিষ্ক নিয়ে বড় হচ্ছিলাম, তখন চাইলেও ইসলাম সম্বন্ধে জানার তেমন সুযোগ ছিল না - বলা যায়: আজকের মত সহজলভ্য source বা resource কোনটাই তখন ছিল না। আজ তাই যারা "searching souls" - তাদের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য পৌঁছে দিতে বড় ইচ্ছা করে।] [এই সিরিজের এর আগের লেখাগুলো রয়েছে এখানে: (more…)

রাসূলের (সা.) ভূমিকাসমূহ – ৪

[এই পোস্টটা, যারা seriously ইসলাম সম্বন্ধে জানতে চান, তাদের জন্য। আমরা যখন প্রায় "নাস্তিক" একটা মস্তিষ্ক নিয়ে বড় হচ্ছিলাম, তখন চাইলেও ইসলাম সম্বন্ধে জানার তেমন সুযোগ ছিল না - বলা যায়: আজকের মত সহজলভ্য source বা resource কোনটাই তখন ছিল না। আজ তাই যারা "searching souls" - তাদের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য পৌঁছে দিতে বড় ইচ্ছা করে।] (more…)
সমুদ্রে জীবন – ৪

সমুদ্রে জীবন – ৪

mariner77_1277921701_3-MVC-320Eএই সিরিজের আগের লেখাটায়, বিভিন্ন ধরনের জাহাজের কিছু বর্ণনা দেয়া হয়েছে, যাতে (অ-জাহাজী) সাধারণ পাঠকরা যদি সিরিজটা পড়তে থাকেন, তবে মোটামুটিভাবে যেন বোঝেন যে, কি নিয়ে কথা বলা হচ্ছে। আগের লেখায় জাহাজের শ্রেণীবিভাগটা ছিল মালামালের ধরনের উপর ভিত্তি করে। এবার ট্রেডিং/সার্ভিস বা ব্যবসার ধরনের উপর নির্ভর করে জাহাজের আরেকটি শ্রেণীবিভাগের কথা বলবো। সেটা হচ্ছে liner ও tramping। যে জাহাজগুলো নির্দিষ্ট সময় পর পর একই পোর্টগুলোতে ঘুরে ঘুরে আসে - সেই জাহাজগুলোকে liner vessel বলে। (প্যাসেঞ্জার লাইনার এবং ইনটারন্যাশনাল ফেরী ছাড়া) সাধারণত বড় কন্টেইনার জাহাজগুলো, কার ক্যারিয়ার ও Ro Ro Vessels ইত্যাদি লাইনার সার্ভিসে নিয়োজিত থাকে - আগে "জেনারেল কার্গো" জাহাজ দিয়েও কোথাও কোথাও liner সার্ভিস চালু থাকলেও, এখন তা নেই বললেই চলে! কোথাও কোথাও রেফ্রিজারেটেড শিপগুলোও লাইনার সার্ভিসে নিয়োজিত থাকতে পারে। যে জাহাজগুলো tramping করে, সে গুলোর কোন নির্দিস্ট রুট নেই (tramp কথাটার মানে ভবঘুরে বা যাযাবর - সেই হিসেবে নামটা যথার্থ)। বাল্ক ক্যারিয়ার, জেনারেল কার্গো বা লগ ক্যারিয়ার - এগুলো সাধারণত tramping করে থাকে। (more…)

রাসূলের (সা.) ভূমিকাসমূহ – ৩

[এই পোস্টটা, যারা seriously ইসলাম সম্বন্ধে জানতে চান, তাদের জন্য। আমরা যখন প্রায় "নাস্তিক" একটা মস্তিষ্ক নিয়ে বড় হচ্ছিলাম, তখন চাইলেও ইসলাম সম্বন্ধে জানার তেমন সুযোগ ছিল না - বলা যায়: আজকের মত সহজলভ্য source বা resource কোনটাই তখন ছিল না। আজ তাই যারা "searching souls" - তাদের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য পৌঁছে দিতে বড় ইচ্ছা করে।] এই সিরিজের আগের লেখাগুলি রয়েছে এখানে: [https://marinerbd.wordpress.com/2015/10/23/রাসূলের-সা-ভূমিকাসমূহ-২/] [https://marinerbd.wordpress.com/2015/10/23/রাসূলের-সা-ভূমিকাসমূহ-১/ ] (more…)
সমুদ্রে জীবন -৩

সমুদ্রে জীবন -৩

আমি আসলে কখনোই ভাবি নি যে, সমুদ্রের জীবন নিয়ে এভাবে সিরিজ লিখবো। কিন্তু এখন লেখার জন্য কেমন যেন একটা চাপের মাঝে রয়েছি বলে মনে হচ্ছে। একজন তো বলেই ফেলেছেন "সমুদ্রে জীবন -৩ কই"? "সামু"-তে যেমন অনেকেই আগ্রহ দেখিয়েছেন তেমনি ঘনভাবে নাস্তিক infested "আমার ব্লগের" অনেকেই বেশ আগ্রহ দেখিয়েছেন সমুদ্র সংক্রান্ত লেখাগুলোতে। এখানকার "big brass"-রা যদি বা এই সিরিজের লেখা পড়েও থাকেন, তবু মতামতে খুব একটা অংশগ্রহণ করেন নি। কিন্তু আমি বেশ অবাক হয়েছি যে "আমার ব্লগের" বেশ সিনিয়র ব্লগাররা, মতামতেও অংশগ্রহণ করেছেন! আজও জাহজের যে সব ব্যাপার সাধারণের কাছে খুব একটা পরিষ্কার নয় - সেসব নিয়ে আমরা একটু কথা বলবো। (more…)
সমুদ্রে জীবন – ২

সমুদ্রে জীবন – ২

সমুদ্রে জীবন নিয়ে সাধারণের অনেক প্রশ্ন ও ভুল ধারণা রয়েছে। কেউ কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন, "জাহাজ কি রাতে গভীর সমুদ্রে নোঙর করে থাকে? তারপর আবার সকাল হলে যাত্রা শুরু করে??" - যারা সমুদ্রের জীবন সম্বন্ধে সামান্য জ্ঞান রাখেন, তারাও জেনে থাকবেন যে, প্রশ্নগুলোর অবস্থান আসলে বাস্তবতা থেকে কত দূরে! প্রথমত, গভীর সমুদ্রে "নোঙর" করা যায় না - কারণ নোঙর করতে হলে, নোঙর বা anchor-কে সমূদ্রের তলদেশের মাটি বা ভূমি স্পর্শ করতে হবে - গভীর সমুদ্রে সাধারণত তার কোন সম্ভাবনাই নেই। দ্বিতীয়ত, জাহাজ একবার চলতে শুরু করলে একটানা রাতদিন চলতে থাকে, যতক্ষণ না গন্তব্যে পৌঁছায়। আমার অভিজ্ঞতায় বড় কন্টেইনার জাহাজগুলোতে আমি একটানা ১৬ দিন চলেছি Tokyo থেকে Balboa (Panama) আর Bulk Carrier- এ একটানা চলেছি ৪৫ দিন - Bangkok থেকে Cape ঘুরে Lagos। (more…)

সমুদ্রে জীবন

সমুদ্রে আমরা নাবিকরা যাযাবর জীবনে কেমন থাকি, কি করি - তা নিয়ে অনেকেরই কৌতূহল রয়েছে। আজ "সামু"তে দেখলাম একজন ব্লগার ইন্টিরিয়র ডেকোরেশন নিয়ে ছবি সমেত একটা পোস্ট দিয়েছেন। তখনই মনে হলো সমুদ্রপ্রেমী বা কৌতূহলীদের জন্য আমার প্রাক্তন একটা জাহাজের অফিস, বসার ঘর আর শোবার ঘরের একটা করে ছবি উপহার দিতে পারি। ইচ্ছা থাকলেও আজ এর চেয়ে বেশী লেখার সময় আমার নেই। তাহলে দেখুন, প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কন্টেইনার বহনকারী আমার একটা প্রাক্তন জাহাজে (আমার মানে, আমি যেটাতে sail করেছি) আমার অফিস, বসার ঘর আর শোবার ঘরটা দেখতে কেমন ছিল!  continue reading →