সমুদ্রে জীবন – ১৬

সমুদ্রে জীবন – ১৬

..এখন অস্ট্রেলিয়ায় বসে "বিগ-ম্যাক" খেতে খেতে আর কেউ ভাববেন না যে, বাবা জিনিসটা খেতে কত ভালোবাসতেন! অথবা, ৩০০০ সিসির গাড়ী চালিয়ে সিডনী থেকে ব্রিসবেন যেতে যেতে মা যে "বলাকা সার্ভিস"-এ গাজীপুর থেকে ঢাকায় আসেন, তাতেও কারো অস্বস্তি লাগবে না! মহসমুদ্রের ওপার থেকে কারো সাথে এসব শেয়ার করার ভাবনা যে অবাস্তব কল্পনাবিলাস তা সবারই জানা - তাই এসব কারণে বিষন্নতার অবতারণা ঘটবে না বরং "যেখানে যা স্বাভাবিক" সেটা মেনে নেয়াই rational মনে হবে। মা-বাবাও কিছুদিন পর পর পাঠানো ছবির মাঝে যখন ছেলের একতালা বাংলো টাইপের বাড়ীর লনে কুকুরকে জড়িয়ে ধরে তোলা নাতির ছবি দেখবেন...
ফাস্টফুড কালচার

ফাস্টফুড কালচার

..অক্টোপাসের যেমন অনেক কয়টি শুঁড় বা tentacles রয়েছে, তেমনি কুফরের যে দানব মুসলিম উম্মাহকে আজ আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে এবং ক্রমাগত নিষ্পেষিত করে চলেছে, তারও অনেক টি শুঁড় রয়েছে বহু শুঁড় বিশিষ্ট কুফরের এই দানবকে আসলে হত্যা করে সম্পূর্ণ পরাজিত করতে হবে - তা না হলে এর একটি শুঁড়কে কেটে, এর কাছ থেকে মুক্তি পাবার কোন উপায় নেই। তবু আমি চেষ্টা করেছি ‘কুফরি-কালচারের’ বহুমাত্রার বিপদের একটি বিপদকে অন্তত পাঠকের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে। আমি জানি আপনি ‘আকাশ-সংস্কৃতির’ আগ্রাসনের বিহিত না করে, কেবল “ফাস্টফুড কালচার” ত্যাগ করে বেশীদূর অগ্রসর হতে পারবেন না...

সময়ের আপেক্ষিকতা

আমরা যারা বিজ্ঞান নিয়ে সামান্য লেখাপড়া করেছি, তারা সময়ের আপেক্ষিকতার কথা জেনে থাকবো । বিজ্ঞানভিত্তিক ঐ আপেক্ষিকতার সাথে গতি, ভর ইত্যাদির জটিল সম্পর্ক ও সমীকরণ রয়েছে। এছাড়া আরেক ধরনের আপেক্ষিকতা আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এমনিতেই দেখতে পাই। Inter-personal এবং intra-personal পরিসরেও আমরা সময়ের মাপ-ঝোকের তারতম্য হতে দেখি। যেমন ধরুন কোন একজন মানুষ একজন ব্যক্তি "ক"-কে সময় দিতে কোন কার্পণ্য করবেন না অথচ, হয়তো দেখা যাবে যে, অপর একজন মানুষ "খ" যদি তার কাছে কোন কাজে আসেন, তবে তিনি ভাবটা দেখাবেন যে, তিনি বড়ই ব্যাস্ত - তার জীবনে সময়ের খুবই অভাব! এতো গেল অন্য…continue reading →

আমাদের নিঃসঙ্গতা – শেষ পর্ব

[Disclaimer:এই লেখাটা মুসলিম perspective থেকে লেখা - তাই সবার ভালো নাও লাগতে পারে] আপাত বিচারে তরুণ প্রজন্মের ভালো মুসলিম ও মুসলিমাহ্ ভাইবোনরা ব্লগে তাদের জীবনের অনেক অমূল্য সময় অর্থহীন কথকতায় কাটিয়ে দিচ্ছেন - যা দেখলে আমার হৃদয়ে সত্যিই রক্তক্ষরণ হয়। কেউ আমাকে বলতেই পারেন:"ওদের বয়সে আপনি কি করেছেন তার ঠিক আছে?" একদম সত্যি কথা! আর কেউ যদি আরো একটু এগিয়ে গিয়ে গণতন্ত্রের এই দেশে, "আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশী তাকে দেবো" স্টাইলে বলেন, "আমাদের জীবনের সময় আমরা নষ্ট করবো, তাতে আপনার কি?" - তাহলে তো আর কথাই নেই! তবু বলছি, "আর্সেনিক-যুক্ত পানি" ব্যবহারে একজনের হাত-পা ক্ষয়ে গিয়েছে - আমার জন্য "আর্সেনিক-যুক্ত পানি" এড়িয়ে চলার জন্য, সেটাই যথেষ্ট হওয়া উচিত। আমি যদি আবার "আর্সেনিক-যুক্ত পানি" ব্যবহার করে দেখতে চাই যে, সত্যিই আমারো হাত-পা নষ্ট হয় কি না - তবে সেটা নিঃসন্দেহে বোকামী বলেই গণ্য হবে। আমার জীবনের অমূল্য সময় কাজে লাগে নি, সেটাই আপনার জীবনের সময় আল্লাহর পথে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টিতে ব্যয় করার প্রেরণা হোক! এই সিরিজের লেখাগুলো মূলত বিশ্বাসী মুসলিম ভাইবোনেদর এই সত্য সম্বন্ধে সচেতন করতে লেখা যে, আড্ডা দিয়ে আর ব্লগর-ব্লগর করে কাটিয়ে দেবার জন্য তাদের জীবন নয়! বরং জীবনের হারিয়ে যাওয়া প্রতিটি মুহূর্তই হয় আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির কাজে ব্যয় করলাম, না হয় অপচয় করলাম - মাঝামাঝি কিছু হবার নয়। (more…)

জীবনে অগ্রগতির সংজ্ঞা

এই ব্লগে বহুদনি ধরেই কিছু সংখ্যক নারী(?) ব্লগারদের মাঝে একটা trend লক্ষ্য করা যায়: একটা "মুসলিম রমণী"সুলভ নিক নিয়ে, ইসলাম এবং মুসলিমদের সবকিছুকে হেয় প্রতিপন্ন করার এমন নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া - যা কেবল নিকৃষ্ট শ্রেণীর ইসলাম-বিদ্বেষী কাফির বা নাস্তিকরা কোন সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়েই করে থাকতে পারে। আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় এসব করে অনেক কিছু হাসিল করা গেলেও, এখানে তাদের প্রাপ্তিটা কি আমি নিশ্চিত নই! আমরা জানি তসলিমা নাসরিন থেকে শুরু করে ইরশাদ মানজী, মরিয়ম নামাজী প্রমুখ - সকলের জীবনে "মুসলিম" নাম নিয়ে প্রকাশ্যে "ইসলাম বিদ্বেষ" প্রমাণ করাতে হার্ভার্ডে ফেলোশিপের মত বিশাল বিশাল সব প্রাপ্তি রয়েছে! কিন্তু যখনই ভাবি সোনাব্লগের মত জামাত-শিবির infested বিশ্বাসীদের ব্লগে তাদের প্রাপ্তি কি হতে পারে? তখনই মনে হয়: হতে পারে এখানে তারা "কিছু পেতে আসেন নি" বরং "কিছু পেয়ে এসেছেন" - অর্থাৎ, বিশ্বাসী মুসলিমদের মাঝে সংশয় বপন করে তাদের অবিশ্বাসী বা সংশয়বাদী বানানোর "কাজ" হাতে নিয়ে তারা এখানে এসেছেন এবং কারো payroll-এ থেকে নিষ্ঠার সাথে সে "কাজ" করে চলেছেন। বিলকিস, বেগম, এলিজাবেথ, হেলেনা ইত্যাদি বাহারী মেয়েলী "নিক" আসলে কি বহুজনের না একজনেরই, তা নিয়েও অনেকের সন্দেহ রয়েছে। যাহোক, সোনাব্লগের ইসলাম বিদ্বেষী রমণীদের তালিকায় সর্ব সাম্প্রতিক একজন হচ্ছেন "হেলেনা" ওরফে "হেলেনারা"। আজ তার একটা পোস্ট ( http://www.sonarbangladesh.com/blog/helenara/116102 ) এসেছে, "নাস্তিক চীনের প্রথমবারের মতো সফল স্পেস ডকিং........" - এই শিরোনামে। সেখানে তিনি লিখেছেন: "আমরা মুসলমানরা এখনো একজন ইবনে সিনা কবিরাজের কম্বল জড়িয়ে বিজ্ঞানের তুড়ি বাজাই আর অন্য কে জ্ঞানদান করি। অথচ নিজেদের প্রপ্তি শুন্য। অন্যদিকে সৃষ্টিকর্তায় অবিশ্বাসী গনচীন শুধু সামনের দিকে এগিয়ে যাছ্ছে।" (ভুল বানানগুলোও কিন্তু তার, আমার নয়!!) (more…)

জীবনের countdown

প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা! আমরা হয়তো খেয়াল করি না বা ভেবে দেখার অবকাশ নিই না যে, জন্মলগ্ন থেকে আমাদের জীবনে এক ধরনের countdown শুরু হয়ে যায়। যার আয়ু ৬০ বছর, তার জীবন "রাফ" হিসাবে ১৮৯,২১,৬০,০০০ সেকেন্ডের সমষ্টি। সুতরাং ব্যাপারটা এরকম যে, অদৃশ্য কোন ডিজিটাল ঘড়িতে বুঝিবা তার জীবনের countdown শুরু হয়েছিল ১৮৯,২১,৬০,০০০ থেকে - এখন হয়তো ৯,২১,৬০,০০০-তে পৌঁছেছে - তার অজান্তে কমতে কমতে '০'-তে পৌঁছালেই সবশেষ! NASA-র মহাকাশযানের launchpad থেকে মহাকাশযানগুলোর যেমন উৎক্ষেপন হয়, তেমনি আমাদের দেহের launchpad থেকে প্রাণগুলো যাত্রা করবে অসীমের পানে - one way journey! এভাবে ভাবলে, কোন মুসলিম তার জীবনের সাধারণ দিনরাতগুলোও হেলা ফেলায় কাটাতে পারে না! আর রামাদান মাস হচ্ছে বিশেষ একটা সময় - অন্য সময় কেউ যদি তার জীবনের সময়রূপ নিয়ামত হেলা-ফেলায় নষ্ট করেও থাকে, তবে তা compensate-করার একটা চমৎকার সুযোগ আসে এসময়ে। অথচ, এই ব্লগের কত মুসলিম ভাই-বোনেরা কত তুচ্ছ ও অর্থহীন বাক-বিতন্ডায় এই পবিত্র রামাদান মাসের অমূল্য সময়গুলো কাটিয়ে দিচ্ছেন। নীচে উদ্ধৃত হাদীসটা একটু খেয়াল করে পড়ুন: (more…)

সত্যিকার মুসলিম হতে চাইলে সস্তা আবেগ অবশ্যই বর্জনীয়

লেখালেখির বয়স যত বাড়ছিল, আমার ততই মনে হচ্ছিল যে, আগের আবেগী লেখাগুলো না লিখলেই বোধহয় ভালো ছিল। যদিও এটা ঠিক যে, ইসলামকে ভালোবেসেই আমার প্রথম কলম ধরা। ইসলামের বা মুসলিমদের বিরুদ্ধে সকল অন্যায়ের প্রতিকারের দায়-দায়িত্ব বুঝি আমার একার ঘাড়েই বর্তায় - এমন একটা সুপ্ত অনুভূতিও হয়তো বা মনের কোন গোপন কোণে বাসা বেঁধে থাকবে। জ্ঞান ছাড়া ঈমান বা ঈমান ছাড়া জ্ঞান - স্কলাররা বলে থাকেন যে, দু’টোই খুব বিপজ্জনক। আমার জীবনের প্রথম দিকের লেখা-লেখিগুলি একাধারে আবেগী ও “বিপ্লবী”ও বলা যায় - না, রাজনীতির ভাষায় “বিপ্লবী” বলতে যা বোঝায় তা নয় - আমি বলবো অনুভবের দিক থেকে “বিপ্লবী”। “সঠিক জ্ঞান” আর “নানান দোষে দুষ্ট জ্ঞানের” ভিতর তফাৎ করার মত জ্ঞান আমার তখন ছিল না! আমরা সবাই হয়তো জীবনে এরকম একটা বিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাই। (more…)

বিনোদন মানুষকে কি ভুলিয়ে রাখে?

বিনোদন মানুষের জীবনের অমূল্য সময় চুরি করে নিয়ে যায় মানুষের অজান্তেই। মানুষ যেন স্বেচ্ছায় নিজেকে ক্ষয় করার বা নিঃশেষ করার ব্রত নিয়ে বিনোদনের জালে ধরা দেয়। আসুন আমরা ভেবে দেখি বিনোদন আমাদের কি কি ভুলিয়ে রাখে: ১। মানুষের ক্ষুদ্রতা ও অসহায়ত্ব: বিনোদনের মাধ্যমে মানুষকে তার ক্ষুদ্রতা ও অসহায়ত্ব ভুলিয়ে রাখা হয়। বিনোদনে ডুবে থাকলে মানুষ নিজেকে নিয়ে এবং মহাবিশ্বের সাথে নিজের সম্বন্ধ ও সমন্বয় নিয়ে ভাববার মত কোন অবসর পায় না (মাননীয় পাঠক! আপনি যদি ঢাকা শহরের বাসিন্দা হয়ে থাকেন, তাহলে একবার ভেবে দেখুন তো শেষ কবে আপনি রাতের তারাভরা আকাশের দিকে ২ মিনিট চেয়েছিলেন? আরেকটু মনে করে দেখতে চেষ্টা করুন - খুব সম্ভবত রাতের তারাভরা আকাশের দৃশ্যটা আপনি শেষ টেলিভিশনের পর্দায় ’মিথ্যা মিথ্যা’ দেখেছিলেন, কোন সিনেমার দৃশ্য হিসেবে!)। বরং সে জল্পনা-কল্পনার এক বায়বীয় ও তাত্ত্বিক জগতে বসবাস করে - বাকচাতুর্যের এক ছায়াময় জগতে তার আধিপত্যবলে সে নানা রকম তত্ত্ব উদ্ভাবন করতে শুরু করে। আজকালকার সাইন্স ফিকশনের যুগে তো কল্পকাহিনী, কল্পনা আর বাস্তবতা সব মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে। (more…)
এমন তো কথা ছিল না

এমন তো কথা ছিল না

কথা ছিল তুমি ফুল তুলে আনবে, তোমার ঐ লাউ-ডগা আঙ্গুলে তুমি ফুল তুলে আনবে ৷ একটি বা দু’টি গোলাপ কিংবা গন্ধরাজ ৷ কথা ছিল তোমার সরু আর জীবন্ত আঙ্গুলগুলো, সস্নেহে বিলি কাটবে মা বা অগ্রজার চুলে, কোন অলস দ্বিপ্রহরে বা শীতের শেষ সকালে ৷ কথা ছিল তুমি স্বপ্ন দেখবে, সত্যি স্বপ্ন, স্বপ্ন হলেও যা সত্যি - এমন কিছু নয় সাদা-মাটা স্বপ্ন, বয়ঃসন্ধিতে যা সকলেই দেখে থাকে ৷ যে স্বপ্নের দাবীও যৎসামান্য, ধরার জন্য দু’টি শক্ত হাত, শত বিঘা জমি নয়, শুধু পুরুষ-বুকের এক টুকরা জমিন ৷ ঝড়-ঝঞ্জায় বা আবেগে নিভৃতে কেবল নিজের মুখটুকু রাখার মত একান্ত নিজস্ব, পুরুষ-বুকের এক টুকরা জমিন ৷ (more…)
আমাদের নিঃসঙ্গতা – ৩

আমাদের নিঃসঙ্গতা – ৩

[প্রিয় ভাই-বোনেরা, এই ব্লগে আমার প্রথম লেখা ছিল "আমাদের নিঃসঙ্গতা" শিরানামের একটা প্রবন্ধ - যা কি না অন্য একাধিক ব্লগেও আগে প্রকাশিত হয়েছে। এই শিরোনামে ২টি পর্ব প্রকাশিত হয়েছিল - কিন্তু কেউ পড়ে থাকলে খেয়াল করে থাকবেন যে, আমার বক্তব্য ঠিক conclude করা হয়নি। ভেবেছিলাম অচিরেই তৃতীয় পর্বটা লেখা হয়ে যাবে, যাতে সত্যিকার অর্থেই একটা উপসংহার থাকবে। কিন্তু এতদিনে তা হয়ে ওঠেনি। আজ সেই তৃতীয় পর্বটা আপনাদের জন্য প্রকাশ করতে যাচ্ছি ইনশা'আল্লাহ্! (more…)
আমাদের নিঃসঙ্গতা – ২

আমাদের নিঃসঙ্গতা – ২

"আমাদের নিঃসঙ্গতা" নামের লেখাটা "আমার ব্লগে" প্রথম পোস্ট করার পর, একজন ব্লগার আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, আমি কি নিঃসঙ্গতা কাটাতেই (বা নিঃসঙ্গতার ভারে ভারী সময় কাটাতে?) ব্লগে এসেছি কি না! না, আমি নিঃসঙ্গতা থেকে পালিয়ে বেড়াতে বা নিঃসঙ্গতা কাটিয়ে উঠতে ব্লগে আসি নি ৷ বরং সত্যি বলতে কি, আমার জীবনে "কাটানোর” মত কোন সময়ই নেই - প্রায়ই মনে হয় দিনে যদি ২৪ টির চেয়ে আরো বেশী কিছু ঘন্টা বা "extra hours" থাকতো ৷ "নীরব একাকীত্ব” কখনো কখনো খুব উপভোগ্যও হতে পারে - হতে পারে খুবই productive ৷ আমি দেখেছি অনেকে "নীরব একাকীত্ব” পছন্দ করেই নাবিকের জীবন বা চা-বাগানের কর্মজীবন বেছে নেন/নিয়েছেন ৷ সেই বেছে নেয়া নিঃসঙ্গতা নিয়ে বলার কিছু নেই ৷ কিন্তু যে নিঃসঙ্গতা মানুষকে কুরে কুরে খায়, অস্থিরচিত্ত করে তোলে, যার প্রভাবে রাত যত গভীর থেকে গভীরতর হয় অস্থিরতা তত বাড়তে থাকে - মানুষ এক ওয়েব সাইট থেকে আরেক ওয়বে সাইটে ঘুরতে থাকে "একটু সঙ্গের আশায়” - হোক না তা virtual companionship ! মানব জীবনের এই দুর্বিষসহ নিঃসঙ্গতা খুবই demeaning - তা মানুষকে ভিখারীসুলভ ও vulnerable করে তোলে ৷ এরকম অবস্থার বশবর্তী হয়েই হয়তো মানুষ আবোল তাবোল বলতে ও লিখতে শুরু করে ৷ (more…)
আমাদের নিঃসঙ্গতা

আমাদের নিঃসঙ্গতা

“দিন পরে যায় দিন, বসি পথ পাশে…………” একটা রবীন্দ্র সঙ্গীতের লিরিক। এই গানটা বা আরো অনেক গানের মূলে রয়েছে, মানুষের নিঃসঙ্গতাবোধ! সকল পরিণত মানুষের মাঝেই শেষ হয়ে যাবার বা ফুরিয়ে যাবার একটা অনুভূতি আসে। ”পরিণত” কথাটা আপেক্ষিক – তবু বলা যায় যে, মানুষ যখন থেকে তার সীমাবদ্ধতা ও insignificance বুঝতে শুরু করে, তখন থেকেই তাকে পরিণত বলা যায় [এটা যদিও ”পরিণত” বয়সের ডাক্তারী সংজ্ঞা নয়]। এ সময় থেকে মানুষ হয়তো নিঃসঙ্গ বোধ করতেও শুরু করে। এই নিঃসঙ্গতাবোধ আবার তার মাঝে একধরনের অস্থিরচিত্ততারও জন্ম দেয়। সে তখন একটা আগ্রহ থেকে আরেকটা আগ্রহে, একটা ভালো লাগা থেকে আরেকটা ভালো লাগাতে – এমন কি কখনো কখনো একটা বন্ধুত্ব থেকে আরেকটা বন্ধুত্বে switch over বা অবস্থান বদল করতে থাকে। বার বার সে ভাবে, আবারো, রবীন্দ্রনাথের কথায়: ”যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই, যাহা পাই তাহা চাই না”। (more…)

কান্না!

রাস্তার পাশে দাড়ানো একটা শিশুকে দেখুন - ক্ষুধার্ত, কাঁদছে, কাঁদতে কাঁদতে চেহারাটা তার মলিন হয়ে গেছে। একটু খাবার চাই। কখন যে একটু পেট ভরে খেতে পারবো এই আকাঙ্খা তার মনে ঘুরপাক খায়। এবার চলুন ফ্ল্যাট বাসাগুলোতে যাই! শিশুর মা শিশুকে খাওয়ানো জন্য কত ফন্দি ফিকির করছে! শিশুটির মুখের সামনে কত মুখরোচক খাবার। কিন্তু শিশুটি কাঁদছে, সে খেতে চায় না! একজন কাঁদছে খাবার না পেয়ে আর অন্যজন কাঁদছে খাবার পেয়ে!!! যে শিশুটি খাবার পেয়েও কাঁদছে তার খাবারটুকু যদি যে খাবার পায় না তাকে দেওয়া যায় তাহলে ভারসাম্যটা রক্ষা হয়। কিন্তু আমাদের সমাজে চলছে উল্টো…continue reading →

যুক্তি-তর্কে Reference Frame

বিতর্কে তো বটেই, যে কোন অপরিচিত বা স্বল্প পরিচিত মানুষের সাথে ভাবের আদান প্রদানের আগেও, উভয়ের আলোচনার “রেফারেন্স ফ্রেম” বা মাপকাঠি তথা পটভূমিটা একই কিনা তা নিশ্চিত করাটা খুবই জরুরী। তা না হলে ব্যাপারটা ”দুই ভুবনের দুই বাসিন্দা” বা ”দোঁহার ভাষা দুই মত” হয়ে যেতে পারে। আমি একটা ইংরেজি শব্দ বেছে নিচ্ছি সাধারণ উদাহরণ হিসেবে। আমরা যখন port শব্দটি বলি, তখন সাধারণভাবে যে কেউ বুঝবেন যে, এই শব্দ দিয়ে “বন্দর” বুঝানো হচ্ছে। কিন্তু ব্যক্তিভেদে এই শব্দটির মানে “বাম দিক” বা “বাম পার্শ্ব” হতে পারে আবার “ছিদ্রপথ” বা “নির্গমন পথ”ও হতে পারে। (more…)

সঠিক পথ কি একটা না অনেকগুলো?

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ السلام عليكم ورحمة الله و بركاته অনেকেই বলে থাকেন যে, যে কোন গন্তব্যে পৌঁছানোর যেমন নানা পথ থাকতে পারে তেমনি, আল্লাহর সন্তুষ্টি বা জান্নাত লাভের জন্য না না পথ, মত এবং পন্থা থাকতে পারে! কিন্তু কথাটা কি ঠিক? প্রত্যেক মুসলিমের উচিত ব্যাপরটা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করা। কুর’আনের বহু আয়াতে আল্লাহ্ সিরাতুল মুস্তাকিম বা সরল [তথা সঠিক] পথের কথা বলেছেন এবং বর্ণনা করতে গিয়ে সব সময় এক বচন ব্যবহার করেছেন। যেমন ধরুন সূরা ইউসুফের ১০৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহ্ বলছেন: (more…)

সবার আগে কোন বিষয়ে জ্ঞান লাভ করতে হবে?

আস সালামু আলাইকুম! আমরা এর আগে আলাপ করেছিলাম মুসলিম জীবনের অগ্রাধিকার প্রসঙ্গে এবং জেনেছিলাম যে, তিনটি বিষয়ে, ঈমান আনার আগেই জ্ঞান লাভ করতে হবে। সে বিষয়গুলোর ভিতর আবার এক নম্বরে ছিল আল্লাহ্ সম্বন্ধে জ্ঞান। আপনারা হয়তো জেনে থাকবেন যে, রাসূল (সা.) ঈমানের বিষয়বস্তু সম্বন্ধে বলতে গিয়ে বলেছিলেন, “আমানতু বিল্লাহি, মালাইকাতিহি….”। এখানেও সঙ্গত কারণেই দেখা যাচ্ছে যে, আল্লাহর উপর ঈমানের কথাটাই সর্বাগ্রে আসছে। মাত্র দু’টি শব্দে প্রকাশ করা হলেও “ঈমান বিল্লাহ্” বা “আল্লাহর উপর ঈমান” এক বিশাল তথ্যবহুল বিষয়। (more…)

মুসলিম জীবনে অগ্রাধিকার প্রসঙ্গে

প্রিয় ভাই-বোনেরা, السلام عليكم ورحمة الله و بركاته [কি অদ্ভূত ব্যাপার! ইসলাম ভিত্তিক ব্লগের সদস্যরাও একে অপরকে সালাম দেন না!! আমি তো জানতাম কেবল তসিলমা নাসরীন, জাফর ইকবাল গং-দেরই সালাম দিতে লজ্জা লাগে। সালাম একটি দোয়াও বটে। নিজের খালি ঘরে ঢুকতেও সালাম দেয়াটা সুন্নাহ্।] অগ্রাধিকার প্রসঙ্গে যাবার আগে চলুন “জ্ঞান অর্জন ফরজ” পর্বটা সেরে নেয়া যাক। এই বহুল প্রচলিত কথাটা আসলে, কোন জ্ঞান বোঝায় সেটা জানাটা প্রতিটি মুসলিমের জন্য অত্যন্ত জরুরী। (more…)

উল্টো অগ্রাধিকার

السلام عليكم ورحمة الله و بركاته আমরা যারা ঝুকিপূর্ণ পেশার সাথে জড়িত, তারা জানি যে, একটা critical moment-এ অগ্রাধিকার ঠিক করাটা কত গুরুত্বপূর্ণ। একবার একটা বিমান দুঘর্টনার গল্প পড়েছিলাম। ল্যান্ডিং-এর ঠিক আগে আগে ককপিটে কর্মরতদের একজন খেয়াল করলেন যে, বিমানের “nose light”টা জ্বলছে না। একে একে সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়লেন nose light জ্বালানোর চেষ্টা করতে। কেউ altimeter খেয়াল করলেন না। ব্ল্যাক-বক্স থেকে জানা গিয়েছিল যে, কেউ একজন যখন চিৎকার করে বললেন যে, উচ্চতা খুব বিপজ্জনকভাবে কমে গিয়েছে – তখন আর কিছুই করার ছিল না। অথচ, একটা nose light ছাড়া বিমানখানি অনায়াসে অবতরণ করতে পারতো! অগ্রাধিকার ঠিক করতে ভুল করলে, মারাত্মক মূল্য দিতে হতে পারে। (more…)

About writing/reading blog

Assalaamu 'Alaikum! I had very negative feelings about blogs. A younger friend once asked me to write here. But, I just brushed it away with the notion that, only people doing nothing could spend so much of time to write and/or read so many useless things. (more…)

Be Thankful for the Simple Things

A man once approached a wise sage complaining of poverty. The sage asked him: "Would you sell me your eyesight for 100 thousand gold coins?" The man said no. The sage continued: "Would you sell me your hearing for 100 thousand gold coins?" The man again said no. The sage then asked the man about his hands, his feet, his sanity, and his other limbs. To each question the man replied that he would not sell. The sage then pointed out to the man that he had valued himself to the tune of a few million gold coins. The sage then declared: "You have a great debt upon your shoulders. This great wealth you possess places demands on you. When are you going to show thanks? Instead, you complain that you want more. Your Lord is truly forgiving and generous."