করণীয়/বর্জনীয় - ১
১৮ ই নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:১০
আমাদের পাড়ার মসজিদের ৩ নং হুজুর, অনেক সময়ই কোন এক ওয়াক্তের নামাজের পর
“বাকী নামাজের পরে বারান্দায় মিলাদ আছে, যে যে পারেন শরীক হতে চেষ্টা করবেন”—এ ধরনের ঘোষণা দিয়ে থাকেন। আমি কখনোই সেই ’যে যে পারেনের’ দলে থাকতে পারিনি, তবে অনুমান করতে পারি যে, ঐ সব মিলাদ খুব সম্ভবত, কারো পরীক্ষায় ভালো করার জন্য দোয়া চেয়ে, অথবা পরীক্ষায় ভালো করার পর শুকরিয়া জানিয়ে, বা কারো রোগমুক্তির জন্য দোয়া চেয়ে, অথবা কোন মৃত স্বজনের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বা একই ধরনের কোন উপলে আয়োজিত। আমি ভাবতে চেষ্টা করেছি যে, কি ধরনের মানসিক অবস্থায় কোন মিলাদের আয়োজক, অর্থাৎ যিনি মিষ্টি ইত্যাদি বা ঐ মিলাদের আনুষঙ্গিক খরচ বহন করছেন, তিনি এই ’ভাবগম্ভীর’ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছেন? আমি উপরে যে কারণগুলোর কথা উল্লেখ করছি, সে সব কারণে যদি তিনি মিলাদের আয়োজন করে থাকেন, তবে ধরে নিতে হবে যে, তিনি একজন বিশ্বাসী — কারণ, তার কোন উপস্থিত জাগতিক প্রাপ্তি নেই ঐ খরচের বিনিময়ে — তিনি
“বিশ্বাস” করছেন যে, তার ঐ
পুণ্যময় আয়োজনের বিনিময়ে আল্লাহ্ তাকে কিছু একটা দেবেন। একজন অবিশ্বাসীর জন্যও মিলাদের আয়োজন করা সম্ভব, তবে তা হবে কোন তাৎক্ষণিক জাগতিক অর্জনের জন্য, যেমনটা ধরুন “জনগণকে” ফু্সলাতে ভোটের মৌসুমে কোন অবিশ্বাসী তাগুত নেতাও মিলাদের আয়োজন করতে পারেন।
(more…)