লিখেছেন লোনার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০১১, রাত ১২:৫৪

[ধারাবাহিকতার জন্য এর আগের পর্ব দু’টোও পড়ুন:
ইসলামী Feminism – ১

https://loner356.wordpress.com/2018/04/19/ইসলামী-feminism-২/]

অনেক দিন আগে – একটা টিভি শোতে অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেছিলেন: বিধাতা যদি তাকে আবার জন্মগ্রগণ করার সুযোগ দিতেন এবং তাকে নিজের জীবন বেছে নেবার সুযোগ দিতেন তবে তিনি নিজের জন্য একজন “সুন্দরী রমণী”র জীবন বেছে নিতেন। কারণ হিসেবে তিনি যা বলেছিলেন, তা মোটামুটিভাবে এমন ছিল যে, একজন সুন্দর রমণীর আর কোন গুণ না থাকলেও, তিনি যে সুন্দর – কেবল এটুকুকে কাজে লাগিয়েই তিনি জীবনে প্রায় সব কিছুই লাভ করতে পারেন। কথাগুলো ঠাট্টাচ্ছলে বললেও, সেগুলোর ভিতর এক করুণ বাস্তবতা রয়েছে। এই বাস্তবতা আরো করুণ হয়ে ওঠে যখন একজন রমণী তার নিজের সৌন্দর্য সম্বন্ধে সচেতন হন এবং তার রূপের অস্ত্রকে নানারকম ফন্দি-ফিকিরসমেত যথার্থভাবে ও সফলভাবে প্রয়োগ ও ব্যবহার করেন এবং সে সবের ফসল সফলভাবে ঘরে তুলেন। সাধারণভাবে মেয়েরা যে অন্য একজন মেয়ের রূপকে হিংসার চোখে দেখে, সেটার একটা মূখ্য কারণ হয়তো এটাই যে, কেবল রূপ থাকলেই, duffer হলেও একজন মেয়ের জাগতিক প্রাপ্তি কত সহজ হয়ে যায়।The Conquest of Happiness বইতে বার্ট্রান্ড রাসেল এ ব্যাপারটা খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন, happiness-এর সংজ্ঞা দিতে গিয়ে। আমাদের জীবনেও এরকম দৃশ্য দেখা যায় – বিয়ে বাড়ীতে ঝলমল করা কোন সুন্দরীর দিকে সবাই যেভাবে হা করে তাকিয়ে থাকেন (নাউযুবিল্লাহ্), তাতে অনেক সাধারণ মেয়েরই হয়তো নিজেকে অসহায়, অসুখী এবং অপূর্ণ মনে হতে পারে। সৌন্দর্য একটা চোখে দেখা গুণ – যে কেউ স্পষ্টতই কোন সুন্দরীর সৌভাগ্যের আলামত সম্বন্ধে অবহিত হতে পারেন। এছাড়াও ঠান্ডা লড়াই পরবর্তী পৃথিবীতে আরো কিছু বিষয় ও বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যেগুলো আপনার ভিতর থাকলে আপনি রাতারাতি সৌভাগ্য ও সাফল্যের ঈর্ষণীয় পর্যায়ে পৌঁছাতে পারেন। সেই বৈশিষ্টসমূহের অন্যতম একটি হচ্ছে, আপনি যদি মুসলিম ঘরে জন্মগ্রহণ করেও ইসলাম বিরোধী ও বিদ্বেষী হন – আর বিশেষভাবে আপনি যদি তেমন কোন মুসলিম নারী হন! তবে মুসলিম নামধারী নারীদের ব্যাপারে আলোচনার আগে, আরেকটা ব্যাপার একটু আলোচনা করতে চাই।

এই ব্লগে এবং অন্যত্রও, অনেকেই এই ধারণাটার বিরোধীতা করে থাকেন যে, ইহুদী-খৃস্টানরা পরিকল্পিতভাবে মুসলিমদের বিরুদ্ধে সার্বক্ষণিক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এবং এমনকি, মুসলিম নারীবাদীদের সম্ভাব্য সব রকম সুযোগ সুবিধা দিয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে কাজে লাগাতে সচেষ্ট। তবে সেই প্রসঙ্গে যাবার আগে আমরা মাত্র একটা “কেস-স্টাডি” করবো – যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরতা একজন খৃষ্টান তরুণীকে বিশেষভাবে সহায়তা করার কথা বলা হয়েছে এই আশায় বা শর্তে যে, তিনি পড়াশোনা শেষে মিসরে গিয়ে সেখানকার “অধিকার-বঞ্চিত” মুসলিম নারীদের মাঝে কাজ করবেন এবং নারী-অধিকার আদায়ের আন্দোলনে জ্বালানী যোগান দেবেন।

কুর’আনে আল্লাহ যেমন বলেছেন:

وَمَكَرُوا وَمَكَرَ اللَّهُ وَاللَّهُ خَيْرُ الْمَاكِرِينَ
“আর তারা কুটকৌশল করেছে এবং আল্লাহ কৌশল করেছেন। আর আল্লাহ উত্তম কৌশলকারী।”
(কুর’আন, ৩:৫৪)

সে রকম একটা উপায়েই যেন আল্লাহর অশেষ রহমতে ঐ তরুণী ইসলাম গ্রহণ করেন এবং তার পর পৃথিবীকে, ইসলামের বিরুদ্ধে আহলে কিতাব কাফিরদের সার্বক্ষণিক ষড়যন্ত্রের কথা জানিয়ে দেন! ধর্মান্তরিত বোন Sharifa Carlo-র এই গল্পটা আমি প্রথম পড়েছিলাম The Sun is rising in the West নামক একটা বইতে, যা কি না অনেক ধর্মান্তরিত ভাই-বোনদের জীবনের কাহীনির একটা সংকলন ছিল! পরে তার জীবনের ঐ গল্প, দাওয়াতের উদ্দেশ্যে, আরো অন্যত্র প্রকাশিত হতে দেখেছি! আসুন তার কাহীনিটা আমরা খানিকটা পড়ে দেখি:


“পরম দয়ালু ও দাতা আল্লাহর নামে

আমার গল্প:

আমি কিভাবে ইসলাম গ্রহণ করলাম (বা ইসলমে ফিরে আসলাম) তা হচ্ছে কৌশল বা পরিকল্পনার একটা গল্প। আমি পরিকল্পনা করলাম, আমি যে দলের সাথে ছিলাম তারাও পরিকল্পনা করেছিল এবং আল্লাহও পরিকল্পনা করেছিলেন। আর আল্লাহ্ হচ্ছেন পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। আমি যখন টিন-এজার (কিশোরী) ছিলাম, তখন আমি একদল লোকের নজরে পড়লাম – যাদের খুব আজব একটা উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ছিল। তারা ছিল (এবং সম্ভবত এখনো তেমনি আছে) খুব আলগা সম্পর্কযুক্ত ব্যক্তিদের এটা সমষ্টি – যারা সরকারের বিভিন্ন পদে নিযুক্ত ছিল এবং যাদের একটা বিশেষ এজেন্ডা ছিল – ইসলামকে ধ্বংস করা! আমার জানামতে, তারা সরকারের কোন অঙ্গসংগঠন নয় – বরং যুক্তরাষ্ট্রের সরকারে নিজেদের অবস্থানসমূহকে তারা নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিলের কাজে লাগাতো।

এই গ্রুপের একজন সদস্য আমার সাথে যোগাযোগ করলো, কারণ আমি কথাবার্তায় বেশ চৌকষ ছিলাম এবং নারী অধিকার আন্দোলনের একজন “বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত” প্রবক্তাও ছিলাম। সে আমাকে বললো যে, আমি যদি মধ্য-প্রাচ্য বিষয়ে বিশেষত্ব সমেত আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উপর পড়াশোনা করি – তবে সে আমাকে মিশরের আমেরিকান দূতাবাসে একটা চাকুরীর নিশ্চয়তা দিতে পারে। সে চায় যে, আমি ওখানে গিয়ে আমার পদমর্যাদা ব্যবহার করে, সে দেশের মুসলিম মেয়েদের সাথে কথাবার্তা বলবো এবং নারী অধিকার আদায়ের আন্দোলনে তাদের সক্রিয় হতে উৎসাহ প্রদান করবো। আমারও মনে হলো যে, ধারণাটা দারুন! আমি মুসলিম নারীদের টিভিতে দেখেছি; আমি জানতাম যে তারা অসহায় ও নির্যাতিত একটা জনসমষ্টি, এবং আমি চাইবো তাদের বিংশ শতাব্দীর স্বাধীনতার আলো দেখাতে।……………….”

আমি আর বাকীটুকু অনুবাদ করলাম না – বরং ইংরেজীতে পুরা গল্পটা এবং এই গল্প প্রাপ্তির লিংকটাও তুলে দিলাম। আপনারা নিজেদের মত করে সময় নিয়ে পড়ে নেবেন ইনশা’ল্লাহ্! আমি আপনাদের যা দেখাতে চেয়েছিলাম সেটার জন্য আমি যতটুকু অনুবাদ করলাম তাই যথেষ্ট। এটা ঠিক যে আমরা, আমাদের দেশে খৃষ্ট-ধর্মকে ধ্বংস করার লক্ষ্য নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রনালেয় চাকুরী করবো বলে গোটা জীবনের ক্যারিয়ারের পরিকল্পনা করবো – এটা হয়তো দূরতম দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারি না। কিন্তু দেখুন কাফিররা কি সুপরিকল্পিতভাবে তাদের অর্থ, সময়, মেধা, শ্রম এবং এমন কি জীবন ব্যয় করেও ইসলামকে ধ্বংস করার প্রকল্পে আত্মনিয়োগ করতে পারে।

===================

In the Name of Allah, most Compassionate, most Merciful

My Story:

The story of how I reverted to al Islam is a story of plans. I made plans; the group I was with made plans, and Allah made plans. And Allah is the Best of Planners. When I was a teenager, I came to the attention of a group of people with a very sinister agenda. They were and probably still are a loose association of individuals who work in government positions but have a special agenda — to destroy Islam. It is not a governmental group that I am aware of, they simply use their positions in the US government to advance their cause.

One member of this group approached me because he saw that I was articulate, motivated and very much the women’s rights advocate. He told me that if I studied International Relations with an emphasis in the Middle East, he would guarantee me a job at the American Embassy in Egypt. He wanted me to eventually go there to use my position in the country to talk to Muslim women and encourage the fledgling women’s rights movement. I thought this was a great idea. I had seen the Muslim women on tv; I knew they were a poor oppressed group, and I wanted to lead them to the light of 20th century freedom.

With this intention, I went to college and began my education. I studied Quraan, hadith and Islamic history. I also studied the ways I could use this information. I learned how to twist the words to say what I wanted them to say. It was a valuable tool. Once I started learning, however, I began to be intrigued by this message. It made sense. That was very scary. Therefore, in order to counteract this effect, I began to take classes in Christianity. I chose to take classes with this one professor on campus because he had a good reputation and he had a Ph.D. in Theology from Harvard University. I felt I was in good hands. I was, but not for the reasons I thought. It turns out that this professor was a Unitarian Christian. He did not believe in the trinity or the divinity of Jesus. In actuality, he believed that Jesus was a prophet.

He proceeded to prove this by taking the bible from its sources in Greek, Hebrew and Aramaic and show where they were changed. As he did this, he showed the historical events which shaped and followed these changes. By the time I finished this class, my deen had been destroyed, but I was still not ready to accept Islam. As time went on, I continued to study, for myself and for my future career. This took about three years. In this time, I would question Muslims about their beliefs. One of the Individuals I questioned was a Muslim brother with the MSA. Alhamdulllah, he saw my interest in the deen, and made it a personal effort to educate me about Islam. May Allah increase his reward. He would give me dawaa at every opportunity which presented itself.

One day, this man contacts me, and he tells me about a group of Muslims who were visiting in town. He wanted me to meet them. I agreed. I went to meet with them after ishaa prayer. I was led to a room with at least 20 men in it. They all made space for me to sit, and I was placed face to face with an elderly Pakistani gentleman. Mashallah, this brother was a very knowledgeable man in matters of Christianity. He and I discussed and argued the varying parts of the bible and the Quraan until the fajr. At this point, after having listened to this wise man tell me what I already knew, based on the class I had taken in Christianity, he did what no other individual had ever done. He invited me to become a Muslim. In the three years I had been searching and researching, no one had ever invited me. I had been taught, argued with and even insulted, but never invited. May Allah guide us all. So when he invited me, it clicked. I realized this was the time. I knew it was the truth, and I had to make a decision. Alhamdulillah, Allah opened my heart, and I said, “Yes. I want to be a Muslim.” With that, the man led me in the shahadah – in English and in Arabic. I swear by Allah that when I took the shahadah, I felt the strangest sensation. I felt as if a huge, physical weight had just been lifted off my chest; I gasped for breath as if I were breathing for the first time in my life. Alhamdulillah, Allah had given me a new life — a clean slate — a chance for Jennah, and I pray that I live the rest of my days and die as a Muslim. Ameen.

মূল লেখাটা পাবেন এখানে:
http://forums.icq.com/forums/index.php?act=view_topic&group;_id=438&topic;_id=46312&forum;_page=1&page;=2
=======

(ইনশা’আল্লাহ্ চলবে )

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *