হে শয়তান! তুমিই কি জার্মান রূপকথার সেই বংশীবাদক?
হ্যামিলনের ছেলেমেয়েরা যার পদাঙ্ক অনুসরণ করেছিল,
হারিয়ে গিয়েছিল অজানা অনন্তে – চিরদিনের তরে!
তুমিই কি তবে ভিন্ন ভিন্ন রূপে বার বার ঘুরে ফিরে আসো –
পৃথিবীর যত্র-তত্র শহর বন্দর গ্রামে, লোকালয়ে ?
নতুন নতুন বাঁশী হাতে, নতুন নতুন সুর নিয়ে?

হালে তুমি আমার মুসলিম বাসভূমেও ঘন ঘন
আসতে শুরু করেছো, কত রূপে, কত রঙে –
কত নতুন সুরের নতুন নতুন বাঁশী হাতে!
তুমি চির নিরাশ, নরকের নিশ্চিত অধিবাসী ৷
তাই কি পৃথিবীর তাবৎ মানুষের প্রতি
তোমার এত আক্রোশ, প্রতিহিংসার এই কুদৃষ্টি?
তুমি তখন কেবল ছেলেমেয়েদেরই নিয়ে গিয়েছিলে-
যারা পেছনে পড়েছিল, তারা ভগ্ন হৃদয় জোড়া দিয়ে
নতুন করে, চাইলে পারতো আবার তাদের জীবন বাঁধতে!
লুটেরা বর্গীরা কখনো ফসল কেটে নিয়ে গেলে –
তবু ক্ষেত পেছনে পড়ে থাকে, আবারো মানুষ বুক বাঁধে
আশায়, নতুন ফসলের তরে, নতুন বছরে ৷
কিন্তু তোমার বাঁশী আজ সকলি নিয়ে যায় মিছিলে –
কন্যা, জায়া, জননী, যুবক, বৃদ্ধ বা ছেলেপেলে!
ফসল, ক্ষেত আর তার সাথে ঈমান হারিয়ে –
আমি হত-বিহবল হয়ে চেয়ে থাকি আকাশের পানে ৷
উজাড়, নষ্ট ক্ষেত যদিও বা পেছনে পড়ে থাকে-
আমি বুঝি, আমার আশার কিছু নেই তাতে;
নষ্ট ক্ষেতে তো কেবল নষ্ট ফসলই ফলে ৷
এই তো সে দিন তুমি আবার এসেছিলে –
আমার ফসল ও ক্ষেত দু’টোই নষ্ট করে চলে গেলে ৷
আর্মি স্টেডিয়ামে তোমার বিষের বাঁশী বাজিয়ে গেলে!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *