হে নাস্তিক! আমি তো তোমার কাছে
ঈশ্বর প্রমাণ করতে চাই নি!!
তবে কেন তুমি গায়ে পড়ে আমার সাথে
ঝগড়া কর, তর্ক জুড়ে দাও?
মানব জীবন কেমন হবার কথা –
আমি কি তোমার কাছে জানতে চেয়েছি?
তবে কেন তুমি তোমার জীবনের
অর্থহীনতা দিয়ে, আমার জীবনকে
অর্থবহ করে তুলতে চাও?
তুমি থাকোনা তোমার অর্থহীন “প্যাঁচাল” নিয়ে –
কষ্ট করে চয়ন করা দুর্বোধ্য শব্দে
ইনিয়ে বিনিয়ে নারীর দেহ সৌষ্ঠবের বর্ণনা,
অথবা, যৌনতার শরীরী প্রকাশ বা প্রেম ভিক্ষা নিয়ে ৷

হে বস্তুবাদী “কমরেড”! তুমি, তোমার অধুনা-লুপ্ত
ঈশ্বরবিহীন ধর্মের জাবর কাটতে চাও?
তা বেশ তো, আমি কি তোমায় বারণ করেছি?
তুমি তোমার ধর্মের – মৃত হাড়গোড় হয়ে যাওয়া –
পয়গাম্বরদের গুণগান গাইতে চাও?
দেং, কিম, চে, লেনিন, স্ট্যালিন কিংবা মাও?
তা গাও না, আমার তাতে তো কোন ক্ষতি হবার নয় ৷
আমি তো দেখেছি কিভাবে নিজ ধর্মে বিশ্বাস হারিয়ে –
এদেশী কমরেডরা হালুয়া রুটির উচ্ছিষ্টের ভাগ পেতে
স্বৈরাচারের সাথে হামাগুড়ির প্রতিযোগিতায়
প্রাণাতিপাত করে, ক্ষমতার ডাস্টবিনে পৌঁছাতে –
অকপটে কোলাকুলি করে বিশ্ব বেহায়ার সাথে!

তবে কি তুমি সেই বরফ শীতল অন্ধকারের
নিঃসঙ্গ সম্ভাবনাকে ভয় পাও?
আমাকেও করে নিতে চাও তোমার সাথী-
জাহান্নামের অতল গহ্বরে!
তুমি কি তবে সৃষ্টির গূঢ় রহস্য জেনে গেছো?
জেনেছো মহাবিশ্বের সবকিছু কেবলই মরে যাচ্ছে?
তোমার “গুরুদেব” যেমন বুঝেছিলেন, সকলই:
“আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী” !

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *