[এই পর্বের প্রথম প্রচেষ্টা রয়েছে এখানে:

হে ঘাতক!
হে ঘাতক! ভেবো না তুমি আমায় কথার মায়াজালে ভুলিয়ে রাখবে।
আমি ঠিকই আমার ভাইয়ের প্রতি বিন্দু রক্তের বদলা চাইবো –
চোখের বদলে চোখ, দাঁতের বদলে দাঁত, নাকের বদলে নাক।
তা সে যতদনিই লাগুক! ভেবো না তুমি জনতার একজন হয়ে যাবে-
সময়ের ব্যাবধানে, মিশে যাবে আর সকলের সাথে, সকলের মাঝে।
ঘাতক! আর হুকুমের আসামী ছায়া-ঘাতক!! হ্যাঁ তোমাকেও বলছি,
শুনে রাখো: ভেবো না আমার ভাইয়ের সমাধিতে ফুল দিলেই আমি
ভুলে যাবো সব! আর অনায়াসে তুমি আমার ভাই-বন্ধু কিছু হয়ে যাবে!!

দাবার ছকে বড়ে আর মন্ত্রী এক নয়, কিস্তি আর গজও এক নয় –
কেউ কেউ ভাবে জীবনের ছকেও বুঝি সব প্রাণ এক নয় –
কোন কোন প্রাণ বুঝি অন্য প্রাণের চেয়ে বেশী দামী হয়।
তাই বুঝি কোন কোন প্রাণকে সারাক্ষণ শীতাতপে রাখতে হয়।
তাই তো কোন কোন প্রাণবাহী দেহ চলে বুলেট প্রুফ গাড়ী চড়ে।
ভেবে দেখেছো? “মৃত্যু-প্রুফ” কিছু কি সত্যি কোথাও আছে?

হে ঘাতক! তুমি জেনে রাখো: তোমার প্রাণ, আর বিডিআরে নিহত
আমার ভাইয়ের প্রাণ – দেহ থেকে চলে গেলে কোনটাই আর ফিরে
আসে না পৃথিবীর বসতিতে। সকলের এই যাত্রা কেবল একমুখিই হয়।
তুমি ভেবোনা তোমার প্রাণ বিশেষ কিছু! তোমার প্রাণহরণেও কেবল
একটি বুলেটই যথেষ্ট – যদিও আমার ভাইয়ের মৃত্যু নিশ্চিত করতে,
তুমি ব্যয় করেছো অনেক ক’টি। সময়কালে, ম্যানিলা রশির একটি গেরোই
তোমার জন্য্ও যথেষ্ট হবে। আমি অনন্তকাল অপেক্ষায় থাকবো-
ভেবো না কবরগুলোতে সবুজ ঘাস উঠেছে বলেই আমি ভুলে গেছি সব!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *