০২ রা জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৫১

ক’দিন আগে হিলারী ক্লিন্টন সরকারীভাবে বলেছেন যে, সমকামিতা হচ্ছে “মানবাধিকার”..!!!!! গত ৭ই
ডিসেম্বর প্রকাশিত খবরটি দেখুন এখানে:
Click This Link

আপনারা কি মনে করেন? বিশেষত মুসলিম হিসাবে??

তিনি আরো বলেছেন যে, অন্যান্য দেশগুলো যেন এই মানবাধিকরকে স্বীকৃতি দেয়, সেজন্য মার্কিন অর্থনৈতিক সহায়তা ও প্রভাবকে কাজে লাগানো হবে। বুঝতেই পারছেন আমাদের মত দেশগুলোর জন্য কি অপেক্ষা করছে! এর আগে “বেজিং প্রটোকল” তথা হিলারী ক্লিন্টন সমর্থিত বিভিন্ন “নারীবাদী এজেন্ডা” বাস্তবায়নের জন্য সাধারণভাবে সমগ্র “তৃতীয় বিশ্ব”, আর বিশেষভাবে “মুসলিম দেশগুলোর” উপর যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত চাপ সামাল দিতে দেশগুলোর রাষ্ট্রযন্ত্রসমূহ বেশ হিম-শিম খেয়েছে। আমাদের দেশের আম-জনতার কথা বাদ দিলেও, আমাদের শিক্ষিতজনেরাও হয়তো সচেতনভাবে এসব নিয়ে ভাবেন না – আর ভাববেনই বা কেন? এদেশের এলিট বুদ্ধিজীবীদের মেয়েদের লেসবিয়ান হতে তো আপত্তি থাকার কথা নয় (এখানে বলা আবশ্যক যে, পশ্চিমা বিশ্বে যারা এখনো তাদের ধর্ম নামক “অনাবশ্যক” ব্যাপটরটা সামান্যও ধরে রাখতে চাইছেন, তাদের কাছেও “নারীবাদ” আর “লেসবিয়ানিজম” এখন সমার্থক দু’টো শব্দ । আপনারা অনেকেই হয়তো আমেরিকান রক্ষনশীল রাজণীতিক তথা ধর্ম যাজক Pat Robertson-এর সেই বিখ্যাত উক্তিটি শুনে থাকবেন যেখানে তিনি “feminism”-এর উপর বক্তৃতা দিতে গিয়ে বলেন: “FEMINISM ENCOURAGES WOMEN TO LEAVE THEIR HUSBANDS, KILL THEIR CHILDREN, PRACTICE WITCHCRAFT, DESTROY CAPITALISM AND BECOME LESBIANS”.)। ক’দিন আগে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ঠিকাদার জনৈক অধ্যাপকের মেয়ের ছবি এসেছে প্রায় সকল প্রধান ব্লগে: বিভিন্ন জাতি-বর্ণের একাধিক তরুণের বাহু সংলগ্ন হয়ে এবং সগর্বে মদের বোতল হাতে নিয়ে তোলা ছবিগুলোর কোনটাতেই লজ্জা বা সংকোচের বাহুল্য যেমন ছিল না, তেমনি বাঙ্গালীত্বের কোন ছাপও ছিল না – “মুক্তিযুদ্ধের চেতনা” ছিল কি না তা অবশ্য “চেতনা বিশেষজ্ঞ”রাই ভালো বলতে পারবেন। তবে বুদ্ধিজীবী-তনয়া জীবনের hedonistic “ভোগসুখ-সুধা” যে আকন্ঠ পান করে চলেছেন, তা স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছিল ছবিগুলোর দেয়া “পোজ” থেকে। বাবাও ছবিগুলো দেখে নিশ্চয়ই গর্ব বোধ করে থাকবেন – রাজাকার সমৃদ্ধ এই দেশে না হোক, যুক্তরাষ্ট্রের মত “মুক্তির দেশ” বা “মুক্ত দেশে” গিয়ে হলেও তার মেয়েটা সত্যি সত্যি “মুক্তমনা চেতনা” বাস্তবায়ন করতে পারছে; এদেশের মানুষ কত সংকীর্ণমনা যে, নিজের মেয়ের বয়সী মেয়েদের সাথে তিনি তার বয়স্ক নিতম্বটা একটু দুলিয়েছিলেন মাত্র – তাইতেই মন্দজনেরা তার “পার্টির” ছবি YouTube-এ লাগিয়ে দিয়েছে এবং তার নামে কুৎসা রটনা করেছে! অথচ, তিনি এবং তার মত আঁতেলরাই তো আসলে এই “জাতির বিবেক ও বাতিঘর”!! যাহোক, যে কথা বলছিলাম, শিক্ষিত নাগরিকরা এসব নিয়ে না ভাবলেও পশ্চিমা প্রভুদের lackey যারা – তার সরবে, নীরবে, স্বনামে, বেনামে, প্রকাশ্যে ও সন্তর্পণে তাদের প্রভুদের এজেন্ডা যে বাস্তবায়ন করে চলেছেন, তা পত্র-পত্রিকা দেখলেই বোঝা যায়।

আমাদের দেশটাকে অনেকেই, নানা কারণে, ঠিক মুসলিম বিশ্বের দেশ মনে করেন না। তবে মুসলিম বিশ্বের দেশসমূহে বাইরে থেকে “নারীবাদ” (বা নারীবাদের ছদ্মবেশে লেসবিয়ানিজম) চাপিয়ে দেয়া যে একটা দীর্ঘ সংঘাতের সূচনা করবে, তা নিয়ে অনেকেই ভাবিত – যেমন এক কালের CIA-এর Desk Operative কর্মকর্তা Michael Scheuer তার “On America’s horizon — A far larger war with the Muslim world” প্রবন্ধে বলেন:

When one hoped that the words of these political leaders amounted to the usual soothing but insincere tripe meant to please a set of naïve and badly educated electorates, Barack Obama delivered on 19 May 2011 a speech detailing U.S. intentions in the Arab world, outlining a set of goals that included calls for regime change in no less than five countries; the installation of democracy from Morocco to Pakistan — apparently with the exception of the West’s oil-rich pet tyrannies on the Arabian Peninsula; the resolution of what the speech tended to portray as minor spats between Sunnis and Shias and Muslims and Christians; and the endorsement of imposing the crazed and near-fanatical feminism of Ms. Susan Rice and Mrs. Clinton on the Muslim world.

(দেখুন: Click This Link )

আমাদের মেয়েদের অধিকার-উন্নতি এগুলো কেবল বাইরের বুলি, আসল রহস্য কিন্তু অন্যখানে। ইহুদী জিয়নিস্টরা ও ফ্রি-মেসনরা পৃথিবীকে single point থেকে শাসন করার লক্ষ্যে যে New World Order-এর ধুয়া তুলেছে, সেটা বাস্তবায়ন করতে হলে অন্য সকল সম্প্রদায়কে “down on their knees” নিয়ে এসে virtual “ক্রীতদাসে” পরিণত করতে হবে! কিন্তু কি দিয়ে? – মদ, মাদকদ্রব্য, পর্ণোগ্রাফী আর সবশেষে সংসার বিমুখ করে সমকামী “অমানুষ” বানিয়ে। বলা বাহুল্য যে, অন্য সকল সম্প্রদায়ের পুরুষদের “লাল্লু” বানাতে পারলেও বা কার্যত “খাসি” করতে পারলেও, মুসলিম সম্প্রদায়ের মাঝে, তাদের তেমন একটা সাফল্য লাভ করা সম্ভব হয় নি। একথাটাই একজন নামকরা ব্যক্তিত্ব (Henry Makow, Ph.D) তার “Lesbian Muslim Reformer is a New World Orderly” প্রবন্ধে এভাবে বলেন: Muslims are the only men resisting the New World Order precisely because they haven’t been gelded like “men” in the West. [দেখুন: http://www.henrymakow.com/000642.html ]
ইরশাদ মানজি নামক ইসমাইলী শিয়া “মুসলিম”(??!!) এক নারীবাদী তথা লেসবিয়ানকে দিয়ে ইহুদীরা যে এজেন্ডা বাস্তবায়ন করাতে চাইছে, সে সম্বন্ধে বলতে গিয়ে তিনি উপরের কথাগুলো বলেন!

তারা নানা রকম ফন্দি এঁটেই চলেছে – কি করে মুসলিম সংসার তথা পারিবারিক জীবনটা ভাঙ্গা যায়। তারই শেষ পদক্ষেপ হচ্ছে এই পোস্টের পরিবেশিত খবরটা। আল্লাহ্ আমাদের রক্ষা করুন ও সহায় হোন!!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *