রোহিঙ্গাদের জন্য সাধারণ মানুষ কি করতে পারেন/পারতেন
আসুন দেখি রোহিঙ্গাদের জন্য সাধারণ মানুষ কি করতে পারেন/পারতেন দেখা যাক:
১) তাদের “পাশেরবাড়ি” যে জ্বলছে, সে সম্বন্ধে সচেতন হতে পারেন/পারতেন – নিজে সচেতন হয়ে থাকলে, অন্যকে সচেতন করতে পারতেন।
২) রাসূল (সা.)-এঁর একটা প্রসিদ্ধ হাদীস অনুযায়ী মুসলিম উম্মহ্ একটি দেহের মত হবার কথা, যার একটি অংশ ব্যাথা পেলে গোটা দেহে জ্বর আসার কথা। আমার গত পোস্টের ভিডিও ক্লিপের( view this link ) ঐ বিধর্মী মহিলার যে বোধ/অনুভব, যে আহাজারি/দুঃখ বা কান্নার ছবি আমরা দেখলাম – আমাদের মাঝে তার লেশমাত্র আছে কি? আমি তো দেখি আমাদের “মৌজ”-এর সকল আয়োজন যথাস্থানেই রয়েছে – এই ব্লগের প্রথম পাতা দেখলেই তা বোঝা যায়।
[উপরে উল্লিখিত হাদীসটির দলিল: An-Nu’man ibn Basheer reported: The Messenger of Allah, peace and blessings be upon him, said, “The parable of the believers in their affection, mercy, and compassion for each other is that of a body. When any limb aches, the whole body reacts with sleeplessness and fever.”
Source: Ṣaḥīḥ al-Bukhārī 5665, Ṣaḥīḥ Muslim 2586
সূত্র: view this link]
৩) আমাদের ক্ষমতা সীমিত হতেই পারে, কিন্তু সহমর্মিতার জন্য পয়সা/অস্ত্র লাগে না। ধরে নিই আমরা একেবারেই অক্ষম! সেক্ষেত্রে “সঠিক বোধ” থাকলে, আমরা মজলুমের পক্ষ নিয়ে জালিমের বিরুদ্ধে আল্লাহর দরবারে প্রতিনিয়ত হাত উঠাতে পারতাম – মনে রাখবেন দোয়া হচ্ছে: weapons of the believers! মসজিদগুলোতে ফরজ নামাযের পরে, সুন্নাহ্ অনুযায়ী “কুনুত নাযিলা” করতে পারতাম!
৪)গত ২০ বছরে বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক সঙ্গতি যে বেড়েছে, তা বুঝতে অর্থনীতিবিদ হবার প্রয়োজন নেই। মানুষকে নষ্ট করতে বা প্রলুব্ধ করতে, ফোন কোম্পানিগুলোর অফার বয়ে যে ক্ষুদেবার্তা বা অযাচিত বিরক্তিকর কলগুলো প্রতিদিন যে কারো মোবাইলে আসে – সেটাই অর্থনৈতিক সঙ্গতির একটা সূচক হতে পারে! একসময় কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়গামী ছেলে-মেয়েরা যে স্বাচ্ছ্যন্দে ২~৫ টাকা দামের একটা সিংগাড়া খেতো, আজ সেই স্বাচ্ছ্যন্দে অনায়াসে ১০০/২০০ টাকার একটা বার্গার বা স্যান্ডউইচ্ খেয়ে থাকে। সকলে মিলে নতুন ও বাড়তি ভোগ-সুখের এই আয়োজন সামান্য কাট-ছাট করলেই, বিশাল কিছু করা সম্ভব। কেবল যুক্তি উপস্থাপন করতেই বলছি: ১৬ কোটি মানুষের যদি সঠিক “বোধ” থাকতো, আর তারা যদি তাদের নবলব্ধ ভোগ-সুখ থেকে দিনে মাত্র ১টি টাকা(নগন্য বলে যার কোন লেনদেন নেই বললেই চলে – আজকাল ১ টাকার একটা কয়েন দিলে ভিক্ষুকরা ক্ষুব্ধ হয়, নিতে চায় না!) সরিয়ে রাখতেন, তবে দিনে ১৬ কোটি টাকা, আর মাসে ৪৮০,০০,০০,০০০ টাকা দিয়ে সমকালীন বিশ্ব-ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্য গণহত্যা, ধর্ষণ, জাতিগত নিধন আর নির্যাতনের শিকার তাদের মুসলিম ভাই-বোনদের সাহায্য করতে পারতেন! কিন্তু আমরা তো বুঁদ হয়ে আছি ফেন্সিডিল, ইয়াবা, সব-সম্ভবের এনার্জি ড্রিংক, ৪০ চ্যানেলে আমাদের ইসলামের-শৃঙ্খল-থেকে-মুক্ত-করতে-চেয়ে সরবরাহ করা সর্বনাশা বিনোদন সামগ্রী আর সব ছাড়িয়ে (একেবারে টয়লেটে বসেও আমাদের কিশোর/তরুণরা যেন একমুহূর্ত মিস না করেন, সেই উদ্দেশ্যে ছড়িয়ে দেয়া) মোবাইল ফোন কেন্দ্রিক পর্ণোগ্রাফিতে! আমাদের কি ভাববার বা অনুভব করার সময় আছে?
৫)যাহোক, কথার পিঠে অনেক কথা বলা হয়ে গেল। এটা ঠিক যে, সবার জন্য উখিয়া/টেকনাফ গিয়ে সাহায্য করা যেমন সম্ভব না, তেমনি সাহায্যের উদ্দেশ্যে দেয়া আপনার অর্থ যে সঠিক পথে ব্যয় হবে, সেটা নিশ্চিত করাও কঠিন। এই কাজটা যারা সঠিকভাবে সমাধা করবেন বলে সবচেয়ে বেশী আশা করা যায়, তাদের মাধ্যমে আপনি চাইলে নিম্ন ঠিকানায় আপনার অর্থ-সাহায্য পাঠাতে পারেন ইনশা’ আল্লাহ্:
RELIEF FUND,
Headquarters 10 Infantry Division.
Account Number: 0096-0310003711.
Trust Bank Limited , Ramu Branch, Chittagong.