অবিশ্বাসী বা বিধর্মীদের কথা বাদ দিয়ে – আমরা যদি শুধু মুসলিমদের কথাই ধরি, তবু দেখতে পাবো যে, মুসলিম জীবনে রাসূল (সা.)-এর ভূমিকা ঠিক কি বা কতটুকু – তা নিয়ে মুসলিম বলে পরিচিতদের মাঝেই wide range-এর মত পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যাবে। এর অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে সঠিক জ্ঞানের অভাব। ইসলামের সকল মৌলিক ধ্যান-ধারণার মতই, ইসলামের নবীর ভুমিকা কি – তাও আমাদের জানতে হবে কেবল মাত্র “নস্” বা text থেকে। তা না করে নিজস্ব অনুমান বা conjecture-এর বশবর্তী হয়ে কথা বলে আমরা এমন সব উদ্ভট গুণাগুণ নবী(সা.) প্রতি আরোপ করেছি, যার সাথে ইসলামের যেমন সম্পর্ক নেই, তেমনি সেগুলো বিভ্রান্তিকর এবং কোন কোন ক্ষেত্রে, এমন কি, ঈমানের জন্যও ক্ষতিকর। আমাদের average বাবা-মায়েরা যেমন আমাদের কখনো বলেন নি – তেমনি আমাদের average হুজুররাও কখনো আমাদের শেখান নি যে, রাসূল (সা.)-কে “role-model” মনে করাটা মুসলিমদের জন্য ঈমানের শর্ত [হতে পারে, হয়তো তারা জানতেনই না] যেমনটা আল্লাহ্ নিম্নলিখিত আয়াতে বলেছেন:

لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِمَنْ كَانَ يَرْجُو اللَّهَ وَالْيَوْمَ الْآَخِرَ وَذَكَرَ اللَّهَ كَثِيرًا

“অবশ্যই তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ তাদের জন্য যারা আল্লাহ ও পরকাল প্রত্যাশা করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে ৷” (সূরা আহযাব, ৩৩:২১)

এভাবে, “যারা আল্লাহ ও পরকাল প্রত্যাশা করে” বলে বিশ্বাসীদের বোঝানো হয়েছে – আর তাই তাঁকে “উত্তম আদর্শ” বা “role-model” মনে করাটা ঈমানের শর্ত হয়ে দাঁড়ায়।

এই ব্যাপারে সকলের সাথে দলিলভিত্তিক জ্ঞান শেয়ার করতে চেয়ে, আমরা একজন ধর্মান্তরিত স্প‌্যানিশ বংশোদ্ভূত আমেরিকান স্কলারের একটা বই (যাতে ২১৮ টি কিতাব থেকে রেফারেন্স উদ্ধৃত করা হয়েছে, সেটা) থেকে অনুবাদ করে, বিষয়টা সিরিজ আকারে এখানে প্রকাশ করছিলাম। এখন ৬টি পর্বের সিরিজটি সম্পূর্ণ হয়েছে। সকল বিশ্বাসী মুসলিম, যারা নিজের দ্বীন সম্বন্ধে জানতে চান – তাদের আমরা নীচের লেখাগুলো পড়ে দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি:

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *