[এই সিরিজের আগের দু’টি পোস্ট রয়েছে এখানে:

এই সিরিজের আগের দু’টো পোস্টে আমি হয়তো কারো কারো ধৈর্যচ্যুতি ঘটিয়েছি – সে জন্য দুঃখিত। ইচ্ছা করেই সবার আগ্রহ বাড়াতে চেয়েছিলাম – তাতে ঘটনাটা, আর সৌদী আরব দেশটাকে হয়তো অনেক দিন মনে থাকবে। কেউ কেউ হয়তো নতুন করে দেশটাকে মূল্যায়ন করবেন – জানতে চাইবেন! বিশ্বাসী মুসলিমদের জন্য দেশটা না না কারণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ – অথচ, আমরা দেশটা সম্বন্ধে বলতে গেলে কিছুই জানি না – যা জানি তাও ভুলে ভরা।

কোন একজন মানুষকে প্রথম দৃষ্টিতে দেখেই আমাদের মনে তার সম্বন্ধে একটা ধারণা সৃষ্টি হয় – যেটা অনেকটাই স্বয়ংক্রিয়, ইংরেজীতে যেটাকে আমরা (first) impression বলে থাকি। এই impression কখনো যেমন ঠিক হয়, তেমনি অনেক সময়ই ভুলও হয়। আর ভুল হয় বলেই জগৎ সংসারে এত প্রতারণা, অবিচার, শোষণ, বৈষম্য আর কান্নাকাটি। রাজনৈতিক অংগনের কথাই ধরুন – খুব উচ্চ ধারণা বা impression সৃষ্টি হয় বলেই নেতা-নেত্রীর জন্য মানুষ কি না করে – তাদের কথায় প্রয়োজনে প্রাণ দিতেও প্রস্তুত থাকে তারা। নেতা-নেত্রী সম্বন্ধে সাধারণের মনে প্রাথমিক যে ধারণা জন্মায়, তা সঠিক হলে পৃথিবির বেশীরভাগ সমস্যার সূত্রপাতই হতো না হয়তো! কিন্তু বাস্তবে এমন কত দেখা যায় যে, যে নেতাকে তারা একসময় ফুলের মালা পরিয়েছেন, তাকেই পরে জুতার মালা পরাতে চাচ্ছেন। এই তো সেদিন জনপ্রিয় ভোটে নির্বচিত বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী সম্বন্ধে কি জঘন্য সব কথা ফাঁস করলেন তারই এক নিকটজন আর তার ফলশ্রুতিতে কতজনের মোহভঙ্গ হলো!

একই কথা নায়ক-নায়িকা, লেখক, প্রেমিক-প্রেমিকা থেকে শুরু করে ঠগ-বাটপার পর্যন্ত সবার বেলায় প্রযোজ্য! তবে যারা চেহারা, বুদ্ধি বা কথা বিক্রী করে খান – তারা অনেক ক্ষেত্রেই রীতিমত impression create করার প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন! অথচ, আসলে তারা কেমন তা আমরা সাধরণেরা জানি না বা জানতে পারি না। আমার বেশ মনে আছে আমাদের দেশের একজন আত্যন্ত জনপ্রিয় লেখক মদ খান/খেতেন শুনে আমি খুব হতবাক হয়েছিলাম! এত সুন্দর সুন্দর কথা বলেন অথচ….. তাঁর জীবন কত “অসুন্দর” – এমনটাই মনে হয়েছিল আমার।

ঠিক উল্টোটাও হয় – impression বিভ্রাটে ঠিক উল্টো ব্যাপারও ঘটে থাকে! অনেক সময়েই একজন “ভীম” চেহারার মানুষকে আমরা প্রথমেই খলনায়ক ভেবে, তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিই। এভাবে আমরা অনেক সময়ই হয়তো আরেকজন মানুষের প্রতি অবিচার করে বসি। বাস্তবে তিনি হয়তো অত্যন্ত সুন্দর মন ও আচরণের একজন ভালো মানুষ। আল্লাহ্ আমাদের, মানুষদের, এভাবেই সৃষ্টি করেছেন… আমরা অন্তর দেখতে/পড়তে পারি না…..আমাদের তাই ভুল হতেই পারে! তবে এটা ঠিক আমরা যদি কাউকে প্রথম দেখায়ই judge বা “বিচার” না করে একটু ধৈর্য ধরতে পারতাম…তবে হয়তো নিজেরা প্রতারিত হওয়া থেকে বেঁচে যেতাম অথবা অন্যের প্রতি অবিচার করার অপরাধ থেকেও মুক্ত থাকতাম।
যাক্, এতো গেলো চোখে দেখে কারো সম্বন্ধে ভুল/শুদ্ধ impression-এর প্রসংগ – কিন্তু না দেখে বা না জেনে কারো ব্যাপরে কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছে গেলে তা নিশ্চয় আরো বড় অন্যায়?
মানুষের মতই, একটা দেশ/জাতির ব্যাপারে অনেক সময় আমাদের মনে ভুল ধারণা বাসা বাঁধে – তা ভালো ও মন্দ দু’টোই হতে পারে। একটা উদাহরণ দিচ্ছি: হিউগো শ্যাভেজ-এর চোখ দিয়ে যদি আপনি যুক্তরাষ্ট্রকে দেখেন তাহলে আমেরিকাকে কেমন দেশ মনে হবার কথা? আবার যদি ছোট বুশের চোখ দিয়ে ভেনিজুয়েলাকে দেখেন, তাহলে দেশটাকে কেমন মনে হবে? আসল সত্যটা হয়তো দু’টো ধারার মাঝামাঝি কোথাও। এর উপর মিডিয়া, বা আপনি যাদের মাধ্যমে খবর পড়ছেন তাদের আদর্শ, উদ্যেশ্য বা স্বার্থের “আস্তর” তো থাকেই! সৌদী আরব সম্বন্ধে কত ধরনের কথা শুনতে শুনতে আমরা বড় হয়েছি – এখন বুঝি তার বেশীর ভাগই ছিল conjecture অথবা গল্পে গল্পে শোনা ব্যাপার। আমার মনে যেমন সৌদী আরব বলতে প্রথম যে দু’টি শব্দ আসতো তা ছিল ঊট আর মরুভূমি – ঊট, মরুভূমি আছে ঠিক তবে সেটুকুই সব নয়!
আমরা যখন বড় হচ্ছি, বা এমন কি যখন কর্মজীবনে যোগ দিয়েছি – তখনও কেউ যে বুদ্ধিদীপ্ত, সচেতন, পরিশীলিত বা updated তা বোঝানোর বা দেখানোর কিছু উপায়/উপাদান ছিল! যেমন: (পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট বা মেডিকেলে) নিজের পছন্দের বিষয়ে পড়া-লেখা করতে পারা, কন্ট্র্যাক্ট ব্রিজ ও দাবা খেলা, ক্রিকেট ও এর আনুষঙ্গিক প্রসংগ নিয়ে আনর্গল আড্ডা চালিয়ে যেতে পারা, রবীন্দ্রসংগীতের রস আস্বাদন করতে পারা, চিত্রাংগদা/শ্যামা/অথেলো ইত্যাদি উপভোগ করতে পারা, ২/৪ লাইন কবিতা লিখতে পারা বা অন্তত সমকালীন আধুনিক কবিতাগুলো বুঝতে পারা অথবা বোঝার ভান করা ইত্যাদি ইত্যাদি। তখনও খোলাখুলি ধর্ম-বিদ্বেষটা ঠিক জাতে ওঠার tool হয়ে ওঠেনি, তবে পাকিস্তানের সাথে সাথে প্রায় এক কাতারে নিয়ে এসে সৌদী আরবকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করাটা বেশ চালু একটা ব্যাপার ছিল। ঢাকায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে এশিয়ার অন্যদেশগুলোর সাথে সাথে (সৌদী আরব সহ) আরব দেশগুলো থেকেও এদেশে ফুটবল টিম আসতো/আসে। একবার এরকম একটা আয়োজনে দেখা গেলো ইরাক, জাপান এমন কি উত্তর কোরিয়ারও সরব সমর্থক থাকলেও, সৌদী আরবের সমর্খকরা খুব “আসামী আসামী” একটা ভাব নিয়ে নিরব/চাপা সমর্থন ব্যক্ত করতো। পরিশীলিতদের ভাব ছিল এমন যে, স্টেডিয়াম সংলগ্ন কাপ্তান বাজারের কসাই শ্রেণীর লোকেরাই কেবল সৌদী আরবকে সমর্থন করতে পারে! এরকম একটা মানসিক পটভূমিতে আমি, বিদেশে পালিয়ে থাকা একজন সৌদী ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক, Said K. Aburish-এর লেখা The House of Saud বইখানা পড়ি। এ বইখানার মূল উপজীব্য: সৌদী রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রতি বিদ্বেষ – আমার মনটাকে গোটা দেশটার বিরুদ্ধে আরো বিষিয়ে তোলে। তখনও আমি রাষ্ট্রযন্ত্র থেকে একটা দেশকে বা সেটার মানুষকে আলাদা করে দেখতে শিখিনি। তার পাশাপাশি ছিল অবোধ ও অবুঝ ইরান-প্রেম। বিশ্বের মুরুব্বীদের বিরুদ্ধে “বেয়াদবী” করে ইরান সাংঘাতিক সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে – এমন একটা বোধ থেকে এবং “তারে আমি চোখে দেখিনি, তার অনেক গল্প শুনেছি….” এমন একটা ভালো লাগা থেকে একটা “ইরান-প্রেম” তখন অনেক মুসলিমই মনে মনে পোষণ করতেন। এখন বুঝি তখনকার “সৌদী-বিদ্বেষ” আর “ইরান-প্রেম” – দু’টোই ছিল ভিত্তিহীন ও বায়বীয়! আমার “ইরান-প্রেম” এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে, একটা ভালো মুসলিম environment-এ কাজ করবো ভেবে আমি ইরানের জাতীয় জাহাজ কোম্পানী IRISL-এ চাকুরী নিয়ে সেদেশে পাড়ি জমাই। তাদের জাহাজে ৬ মাস প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করতে করতে আমার মোহভঙ্গ হয়। বাংলাদেশের আর সকলের মতই, নিজের দ্বীন সম্বন্ধে ন্যূনতম জ্ঞান না থাকায়, নিজের ও শিয়াদের দ্বীনের পার্থক্যের ব্যাপারে একেবারেই অজ্ঞ ছিলাম আমি। ইরানীদের সাথে মেলামেশায় ঐ ৬ মাসেই আমি এটা অনুধাবন করি যে, একদিকে যেমন তাদের সাধারণ মানুষের সাথে তথাকথিত ইসলামী বিপ্লবের তেমন সম্পৃক্তা ছিল না – তেমনি ইরানের ইসলামী বিপ্লবের কোন সুফল সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছায় নি; তারা বরং তাদের “পুরানো ইরানের” প্রতিই নস্টালজিক বোধ করেন বলে মনে হয়েছে আমার। এ ছাড়া তাদের ব্র্যান্ডের ইসলামের সাথে রাসূল (সা.)-এর রেখে যাওয়া ইসলামের (অর্থাৎ, আহলুস সুন্নাহ্ ওয়া আল জামা’আহ্-র বিশ্বাস ও পদ্ধতির) যে বিস্তর ফারাক – তাও ক্রমে পরিষ্কার হতে শুরু করলো।
যাহোক, এরই মাঝে, আমি যখন ইরান ছেড়ে দেশে এসে অন্যত্র চাকুরী নিয়েছি, তখন অনেক দিন পরে আমার এক বড় ভাইয়ের (cousin) সাথে দেখা হলো। তিনি আমাদের চেয়ে ১০/১২ বছরে বড়। আমরা ছেলেবেলায় যখন তাকে দেখেছি, তখন, (আগে উল্লেখিত) “চৌকষ” হিসাবে পরিগণিত হবার সকল গুণই তার মাঝে বিদ্যমান দেখেছি – আর পড়াশোনায়ও তিনি খুব ভালো ছিলেন – ঐ রকম ভালো, যে রকম ভালো হলে আন্যরা বাবা-মায়ের কাছে লেখাপড়ায় অবহেলার জন্য বকা খাওয়ার সময় তার/তাদের উদাহরণ/প্রসঙ্গ ঘুরে ফিরে আসে! কন্ট্র্যাক্ট ব্রিজ বা রবীন্দ্রসঙ্গীতের সাথে বেমানান মনে হলেও, তিনি খুব গভীরভাবে ইসলামের ব্যাপারগুলো জানতেন, বিশ্বাস করতেন, মানতেন এবং প্র্যাক্টিস করতেন (তার উদাহরণসমেত বাবা-মার কাছে বকা খাবার ব্যাপারে এটাও একটা বাড়তি ফ্যাক্টর ছিল)! বুয়েট থেকে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পড়াশেআনা শেষ করে, দেশে প্রথমে দেশে ৭/৮ বছর চাকুরী করেন তিনি। তারপর বেশ ক’বছর ইরানে কাজ করে ফিরে এসে, সৌদী আরব যান চাকুরীর সুবাদে; ওখানে জেদ্দা রিফাইনারীতে অনেকদিন চাকুরী করেন। তিনি একদিন গল্পে গল্পে তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে বললেন যে, বাঙ্গালীরা যেমন তিনজন একত্র হলে রাজনীতি নিয়ে কথা বলে বা আড্ডা মারে, ইরানীরা তেমন কয়েকজন একত্রিত হলে আদি-রসাত্মক গল্প করে, আর সৌদীরা একত্রে বসলে দ্বীন ইসলাম নিয়ে কথা বলে। কথাগুলোর গুরুত্ব পুরোপুরি না বুঝলেও, মনে দাগ কেটে বসে। পরবর্তীতে হজ্জ্ব, উমরাহ্ বা বেড়াতে গিয়ে বুঝেছি যে, সৌদী আরবের সাধারণ মানুষের রক্তধারায় ইসলাম প্রবাহিত হয়। আমার জীবনের জাহিলী যুগে, আমি যখন গান শুনতাম, তখনকার আমার প্রিয় একটা গানে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন:
“…রক্তধারার ছন্দে আমার দেহবীণার তার
বাজাক আনন্দে তোমার নামেরই ঝন্কার।..”
সৌদী গণসাধারণের ইসলামপ্রীতির কথা শুনে/জেনে, পূজা পর্বের ঐ গানাটার অভিব্যক্তির কথা মনে হয়েছিল। এই অল্প কিছুদিন আগে বাদশাহ্ আব্দুল্লাহ্ যখন মারা যান, আমি তখন সৌদী আরবে ছিলাম। তখন একটা ডক্যুমেন্টারীতে দেখছিলাম, একসময়কার যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সৌদী রাষ্ট্রদূত বান্দার বিন সুলতান বলছিলেন যে, সৌদী গণসাধারণের ডি.এন.এ.-তে ইসলাম রয়েছে। ইসলামের বিরোধিতা করে বা ইসলাম বিরোধী ইমেজ নিয়ে কেউ সৌদী আরব শাসন করতে পারবে না!
আমরা যখন বড় হচ্ছি, তখন রবীন্দ্রনাথকে আমরা একেশ্বরবাদী বা monotheist মনে করতাম – শুধু আমরাই নয়, আমার মনে হয় যারাই তার সম্বন্ধে আগ্রহী ছিলেন, তারাই তাকে একেশ্বরবাদী বা monotheist মনে করতেন বা এখনও বেশীরভাগ তাকে তাই ভাবেন। সেই ভুল ধারণা থেকেই, অনেকে তার পূজা পর্বের গানগুলোর মর্মস্পর্শী আকুতি ও soul searchingকে near-Islamic doctrine বলে ভুল করেছেন – অথচ, একটু ঘাঁটাঘাঁটি করলেই বোঝা যাবে যে, তিনি আসলে সর্বেশ্বরবাদী বা pantheist ছিলেন। তিনি বহির্জগতের দৃশ্যমান মূর্তিপূজা না করলেও, নিজেকে বা নিজের অন্তরকেই আরেক ধরনের মূর্তি বানিয়ে নিয়েছিলেন। এজন্যই লালন, ড.ইকবাল সহ অনেক সূফী, সাধক ও সর্বেশ্বরবাদীদের ভক্তি শ্রদ্ধা করতেন রবীন্দ্রনাথ এবং তাদের সাথে তার ধ্যান-ধারনা ও ভাবের অদ্ভূত মিল ছিল। ইসলামী monotheism বা তৌহীদের দৃষ্টিকোণ থেকে সর্বেশ্বরবাদ বা সবকিছুর মাঝে ঈশ্বরের অবস্থানের ধারণাকে নির্ভেজাল “কুফর” ও “শিরক” জ্ঞান করা হয়। ইসলামের একেশ্বরবাদ বা তৌহীদের যাত্রা শুরুই এই ধারণা থেকে যে, এই মহাবিশ্বে যা কিছু অস্তিত্বে এসেছে, তার কোন কিছুই আল্লাহর মত নয় (কুর’আন ৪২:১১, ১১২:৪)। বরং আল্লাহ্ হচ্ছেন তাই সবকিছুর otherness । “সীমার মাঝে, অসীম, তুমি বাজাও আপন সুর – আমার মধ্যে তোমার প্রকাশ তাই এত মধুর….” – শুনতে যতই ভাব-বিহ্বল লাগুক না কেন, আর, ঐ গান/কবিতার সাহিত্যিক মর্যাদা যতই উচ্চতর হোক না কেন – একজন বিশ্বাসী মুসলিমের কাছে ঐ কথাগুলো নির্ভেজাল কুফর/শিরক; আর তাই পরিত্যাজ্য!

 

সৌদী আরবের আরো কিছু ছবি দেখুন ইনশা’আল্লাহ্:

1

রিয়াদের আকাশ

2

 পারস্য উপসাগরের আল-খোবার সৈকতে সূর্যোদয়ের ঠিক আগে আগে

 

3

পারস্য উপসাগরের আল-খোবার সৈকতে সূর্যোদয়ের অপেক্ষায় গাংচিলেরা

 

4

লোহিত সাগরের তীরে আল-লাইথ সমুদ্র সৈকত

 

5

বাহরাইন ব্রিজের রাস্তার পাশের শিল্পকর্ম

 

6

আল-লাইথ সমুদ্র সৈকত থেকে দেখা লোহিত সাগর

 

7

লোহিত সাগর তীরবর্তী কুনফুদাহ সমুদ্র সৈকত

 

8

কুনফুদাহ সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন শিল্পকর্ম

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *