সম্পূরক প্রশ্নঃ যেহেতু এই খাবারের আয়োজন অমুসলিমদের একটি শিরকের উৎসব উপলক্ষে সেহেতু আমর বিল-মা’রূফ ওয়া নাহিয়া ‘আনিল-মুনকার এর দৃষ্টিকোণ থেকে কি এই খাবার খাওয়া যাবে? রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি ইয়াহূদীদের ধর্মীয় উৎসবের দাওয়াতে গিয়েছেন?

উত্তর  দিয়েছেন ডঃ মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ

উত্তরঃ আপনারা মনে রাখবেন, আমরা যখন শরিয়তের কোনো বিষয়কে জায়েয বলি তার মানে এই নয় যে, এটাই করতে হবে অথবা এটাই আমরা করতে বলছি অথবা এটা করাই উত্তম। শরিয়তের বিধান জায়েয বলার অর্থ হচ্ছে এটি শরিয়তের হুকুম। এক্ষেত্রে উত্তম অর্থাৎ ঈমানদার ব্যক্তির করণীয় কি হবে সেটি হচ্ছে দেখার বিষয়। ঈমানদার ব্যক্তি এক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে পারেন এবং তিনি চেষ্টা করবেন যেটি না করলে তার জন্য উত্তম হবে সেটি না করার চেষ্টা করা। আর জায়েযের মাস’আলাটি হচ্ছে শরিয়তের উদারতার কারণে, শরিয়তের হুকুমের কারণে শরিয়ত এগুলোকে জায়েয ঘোষণা করেছে। জায়েয ঘোষণা করার অর্থ কখনো এই নয় যে, এটাই করতে হবে অথবা এটা আমরা ফরয করে দিয়েছি অথবা খেতেই হবে এই খাবার। এটি সম্পূর্ণ ভুল চিন্তাধারা। প্রথমে আমাদেরকে এই ধরনের চিন্তাধারা পরিহার করতে হবে।

দ্বিতীয়ত, আমাদের কাছে যেই প্রশ্নটি এসেছিল সেখানে খুব স্পষ্টকরেই বলা হয়েছে যে সেটি কোনো পূজা বা উৎসবের খাবার নয় অথবা প্রসাদ নয় এবং এটি একটি আলাদা আয়োজন। যদি সেটি আলাদা আয়োজন হয়ে থাকে তাহলে সেটি খাওয়া নাজায়েয বা হারাম নয়। আমরা সেটাই বলেছি। কিন্তু যদি কোনো পূজার খাবার হয়, অথবা পূজাতে অংশগ্রহণ উপলক্ষে হয়ে থাকে তাহলে এতে কোনোভাবে অংশগ্রহণ করাও জায়েয নেই এবং পূজার খাবার খাওয়াও জায়েয নেই। কিন্তু আমাদের কাছে যেই প্রশ্ন করা হয়েছিল সেখানে বলা হয়েছিল যে এটি আলাদাভাবে করা একটি খাবার এবং সেটি যদি সামাজিক কারণে অথবা সোশাল প্রোগ্রামের কারণে হয়ে থাকে তাহলে সেখানে অংশগ্রহণ করা যেতে পারে। ইসলামী শরিয়তে এটি হারাম হবার জন্য কোনো সুস্পষ্ট দলিল নেই।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *