আর কেউ না হোক, তুমি তো আমার হৃদয়ের
রক্তক্ষরণ দেখতে পাও। এ হৃদয়ের অলিন্দ নিলয় থেকে
যখন টপ টপ করে শেষ-প্রায় রক্তের ক্লান্ত ফোটা ঝরে-
তুমি তা দেখ তো? তোমায় বোঝাতে পেরেছি তো
যে, তোমারই জন্য আমার চুপ থাকা, সকল লাঞ্ছনা-গঞ্জনা
মুখ বুজে সওয়া, নিজের লজ্জা অভিমান সব ভুলে যাওয়া।

অবুঝ এই তারুণ্যকে কে বোঝাবে:
আনন্দ আনন্দ বলে চেঁচালেই প্রশান্তি আসে না –
বরং অন্তঃসারশূন্য হৃদয় আরো একধাপ শূন্য হয়,
নিঃস্ব হয়, আনন্দের স্থপতিদের কারসাজিতে;
কেউ হয়তো সর্বস্ব হারায় বিবস্ত্র সেই বাঁধনের মত।
আহা, কে বোঝাবে ওদের, পরিণতিহীন এই উন্মাদনার
আয়োজনের পথ ধরেই ধর্ষিত হয় তিন বছরের শিশু –
সদ্য বয়ঃসন্ধিতে পৌছানো অবোধ বালিকা প্রশান্তি খোঁজে
ম্যানিলা রশির আলিঙ্গনে। সকল কোলাহল শেষ হলে,
পান শেষের হ্যঙ্গওভারের মতই নেমে আসে
থক থকে নীল বিষন্নতা আর হু হু শূন্যতা।
কে বোঝাবে একদিকে বয়ে যাওয়া নদীর মত
ওদের উচ্ছলতাকে – কে বোঝাবে যে,
ভালোবাসা খুঁজতে হয় না, তোমার কাছে চাইতে হয়।
সকল ভালোবাসার নদী – তোমা থেকে শুরু হয়ে
তোমাতেই শেষ হতে হবে – তা না হলে, নদী বলে
ভুল হলেও ভালোবাসা মরীচিকা হয়েই রইবে।
ধানমন্ডি লেকের স্যুয়েজ মিশ্রিত পানি থেকে
ভালোবাসা উঠে আসে না – রূপকথার মৎসকন্যার মত।
বরং ভালোবাসা আসে কোটি কোটি আলোকবর্ষের ওপার থেকে।

তুমি সাক্ষ্মী আছো তো – আমি চেষ্টা করেছি
ওদের পিছু ডাকতে – ফিরিয়ে আনতে, সেখান থেকে –
যেখান থেকে আরেকটু গেলেই আর কারো বুঝি
কোনদিনই ফিরে আসা হয় না।
আর কেউ না হোক, তুমি তো জান –
ওদের আমি তোমার জন্য কত ভালোবাসি!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *