প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা!

আমরা হয়তো খেয়াল করি না বা ভেবে দেখার অবকাশ নিই না যে, জন্মলগ্ন থেকে আমাদের জীবনে এক ধরনের countdown শুরু হয়ে যায়। যার আয়ু ৬০ বছর, তার জীবন “রাফ” হিসাবে ১৮৯,২১,৬০,০০০ সেকেন্ডের সমষ্টি। সুতরাং ব্যাপারটা এরকম যে, অদৃশ্য কোন ডিজিটাল ঘড়িতে বুঝিবা তার জীবনের countdown শুরু হয়েছিল ১৮৯,২১,৬০,০০০ থেকে – এখন হয়তো ৯,২১,৬০,০০০-তে পৌঁছেছে – তার অজান্তে কমতে কমতে ‘০’-তে পৌঁছালেই সবশেষ! NASA-র মহাকাশযানের launchpad থেকে মহাকাশযানগুলোর যেমন উৎক্ষেপন হয়, তেমনি আমাদের দেহের launchpad থেকে প্রাণগুলো যাত্রা করবে অসীমের পানে – one way journey! এভাবে ভাবলে, কোন মুসলিম তার জীবনের সাধারণ দিনরাতগুলোও হেলা ফেলায় কাটাতে পারে না! আর রামাদান মাস হচ্ছে বিশেষ একটা সময় – অন্য সময় কেউ যদি তার জীবনের সময়রূপ নিয়ামত হেলা-ফেলায় নষ্ট করেও থাকে, তবে তা compensate-করার একটা চমৎকার সুযোগ আসে এসময়ে। অথচ, এই ব্লগের কত মুসলিম ভাই-বোনেরা কত তুচ্ছ ও অর্থহীন বাক-বিতন্ডায় এই পবিত্র রামাদান মাসের অমূল্য সময়গুলো কাটিয়ে দিচ্ছেন। নীচে উদ্ধৃত হাদীসটা একটু খেয়াল করে পড়ুন:
=====

আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন যে, আল্লাহর রাসূল(সা.) “আমীন! আমীন!! আমীন!!!” বলে মিম্বরে উঠলেন। আমরা জিজ্ঞেস করলাম, “হে আল্লার রাসূল! আপনি কেন এমন করলেন (বললেন)?” তিনি (সা.) বললেন: “জিব্রীল আমার কাছে আসলেন এবং বললেন, ‘যে রামাদান পেল অথচ তাকে ক্ষমা করা হলো না – সে লাঞ্ছিত হোক!’ তাই আমি বললাম, ‘আমীন!’ তারপর তিনি (জিব্রীল) বললেন, “যে তার মা-বাবার দুজনকে অথবা এমনি কি একজনকেও তাদের বৃদ্ধ অবস্থায় পেল – অথচ [তাদের খুশী করে] জান্নাতে প্রবেশ করতে পারলো না – সে লাঞ্ছিত হোক!’ তাই আমি বললাম, ‘আমীন!’ তারপর তিনি (জিব্রীল) বললেন, ‘যার সামনে আপনার নাম নেয়া হয়, অথচ সে আপনার উদ্দেশ্যে দরুদ (সালাহ্) পড়ে না – সে লাঞ্ছিত হোক!’ তাই আমি বললাম, ‘আমীন!’ ” (বুখারী, ইবন আবি আসীম, ইবন খুজাইমা ইত্যাদি))

===

আসুন, আমরা রামাদানের বাকী দিনগুলোকে, বেশী বেশী ইবাদাত ও “আল্লাহ্-নির্ধারিত ভালো কাজ করে” maximum utilize করার চেষ্টা করি। আমাদের বয়স ১৮ বা ৮১ যাই হোক না কেন – আমরা কি জানি আমাদের জীবনের অদৃশ্য countdown কখন শেষ হয়ে যাবে? কে জানে আমরা আর একটা রামাদান পাবো কি না!!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *