প্রশ্নঃ একটি মেয়ে বিয়ে করতে চায় পরহেজগার ছেলেকে কিন্তু মেয়ের দাদার পরিবার এবং নানার পরিবারের গার্জিয়ানগণ কোনো ইসলামিক পরহেজগার ছেলেকে যদি পছন্দ না করে তাহলে এক্ষেত্রে মেয়ের করনীয় কি?

উত্তরঃ জী, যদি পারিবারিকভাবে একজন দ্বীনদার পাত্রের সাথে তার বিয়ে দেয়ার ব্যাপারে কোনোধরনের আপত্তি থাকে আর সেটা যদি তিনি নিশ্চিত হোন এবং তাদের বক্তব্য থেকে সরাসরি বুঝতে পারেন অথবা তারা যদি কোনো ইসলামিক মাইন্ডের ছেলেকে রিফিউজ করে বা ফিরিয়ে দেয় অথবা তার কাছে বিয়ে দিবেনা বলে সুস্পষ্ট বক্তব্য দেয় এক্ষেত্রে তার জন্য জায়েয আছে তিনি কোর্টের আশ্রয় নিতে পারেন। কোর্ট যদি তাকে অনুমতি দেয় এবং তিনি যদি কোর্টের মাধ্যমে বিয়েতে সম্মতি প্রদান করেন আর সেটা যদি বৈধ প্রক্রিয়ায় বিয়ে হয়ে থাকে তাহলে তার জন্য জায়েয আছে এভাবে বিয়ে করা। কারণ, এক্ষেত্রে অভিভাবক বা যিনি ওলীর দায়িত্বে রয়েছেন তার ওলী হিসেবে যেই হকটুকু ছিল সেটি বাতিল হয়ে যাবে। যেহেতু কোর্টের ওয়ালায়াত বা কর্তৃত্ব সরকার বা রাষ্ট্র কর্তৃক নির্ধারিত যা ওয়ালায়াতে সুগরা অর্থাৎ ব্যক্তির অভিভাবকত্বককে যেকোনো সময় সংগত কারণে বাতিল করতে পারে। সূরা নিসার ১৯ নং আয়াতে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেন, وَلَا تَعْضُلُوهُنَّ অর্থাৎ তোমরা তাদেরকে আবদ্ধ করে রেখো না। এই আয়াতে আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা ‘আযল বা বিয়ের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করাকে হারাম করেছেন। তাই অভিভাবক যদি তার অভিভাবকত্বে যারা আছেন তাদের বিয়ে না দেয়ার ব্যাপারে গড়িমসি করেন অথবা এ ধরনের কোনো কাজে লিপ্ত হোন অথবা উত্তম বা দ্বীনদার পাত্রের সাথে বিয়ের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা বা বাধা সৃষ্টি করেন তাহলে ঐ নারী অথবা পাত্রীর জায়েয রয়েছে তার অভিভাবকের এই অবস্থা সম্পর্কে কোর্টকে জানানো। এরপর কোর্ট যদি অনুমতি দিয়ে থাকে তাহলে কোর্টের অনুমতি নিয়ে তিনি বৈধ প্রক্রিয়ায় বিয়ে করতে পারবেন। এটি তার জন্য বৈধ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *