আর যাকে বলতে চাও বল
সার্বভৌমত্ব হারিয়েছে তোমার –
ফেলানীর মৃত্যুতেই কি মনে হলো?
সার্বভৌমত্ব কাকে বলে,
তুমি হয়তো তা জানোই না!
সে তো কবে কখন হারিয়ে গেছে-
সময়ের কোন অদৃশ্য বাঁকে।
জন্মের আগেই বুঝি মৃত্যু ঘটেছে তার –
ইতিহাস-জরায়ূর অন্ধকার গহ্বরে!
হ্যাঁ, আমি অবশ্য সার্বভৌমত্ব বলতে
নিঃশর্ত সার্বভৌমত্বই বোঝাতে চাইছি!
সে কবে কখন হারিয়ে গেছে-
সময়ের কোন অদৃশ্য বাঁকে।
আজ পেছন ফিরে খুঁজতে চাইলে
গোলক ধাঁধাঁর মত দুর্বোধ্য ঠেকে!
সার্বভৌমত্ব কবে হারালো
সেই প্রশ্নটা বেশ জটিল –
মানচিত্রের কথা আগে বলবো,
নাকি মগজের – তাও ঠিক করা কঠিন!!
যেদিন আমাদের প্রথম বাবা জিন্নাহ –
সাহেবদের হ্যাট পরেছিলেন সেদিন?
নাকি আমার মা-ঝিয়েরা যেদিন
কপালে সিঁদুরের টিপ পরলো সেদিন?
কুর’আন রেখে আমরা যেদিন
গীতবিতান হাতে নিলাম সেদিন?
নাকি রমনার বটমূলে যেদিন
পান্তা খেতে শুরু করলাম সেদিন?
হে যুবক, তুমি করবে যুদ্ধ?
হাসালে আমায় তুমি!
তুমি ভিডিও গেমে যুদ্ধ-খেলা খেল-
ভার্চুয়াল জগতকে “জীবন” জ্ঞান কর।
হিন্দি সিনেমার সংলাপের সাথে
রাম অথবা কৃষ্ণ নাম জপ কর –
নগ্ন প্রায় ক্যাটরিনার স্বপ্ন দেখে
ফজরের আগে ঘুমাতে যাও রাত শেষে।
তুমি সারাদিন গুণ গুণ কর
হিন্দি গানের চটুল কলি;
হিন্দুস্থানী “কলা-সামগ্রী” না হলে
জাতে ওঠা হয় না তোমার !
লেহেঙ্গা, শাড়ী, বাড়ী, নারী
তোমার সব স্বপ্নেই রয়েছে হনুমান পূজারী!
তুমি সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে? আমাকে নয়-
আর যাকে বলতে চাও বল।
[অন্যায় অবিচার ঘটতে দেখলে একজন মুসলিম হাত দিয়ে তা ঠেকাবে, না হয় মুখ দিয়ে তার প্রতিবাদ করবে, আর কিছুই করতে না পারলে মনে মনে তা ঘৃণা করবে – এই মূলনীতির আলোকে, প্রেসক্লাবে সমবেত হবার আহ্বানের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই এই পোস্টটা দেয়া হয়েছে।]